গত বছর জুন মাসে যখন তাঁকে বৃত্তিমূলক শিক্ষা সংসদের সভাপতি পদে বসানো হয়, তখনই বিতর্ক হয়েছিল। তারপরেও কয়েক মাসে বিতর্ক পিছু ছাড়েনি রুদ্রনীল ঘোষের। সোমবার ফের বিতর্কে জড়ালেন। ফের জানালেন, যে কমিটিতে আলোচনা করে বৃত্তিমূলক সংসদের যাবতীয় সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা, তা এখনও পাননি। দফতরের মন্ত্রী উজ্জ্বল বিশ্বাসকে বারবার সে কথা জানিয়েও লাভ হয়নি। সরাসরি দফতরের মন্ত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগ জানালেও তাঁর প্রতি কোনও ক্ষোভ নেই বলে মন্তব্য করেছেন রুদ্রনীল। আর উজ্জ্বলবাবুর বক্তব্য, “উনি কী বলছেন, আমি কিছুই বুঝতে পারছি না। তাই কোনও মন্তব্য করব না।”
অভিনেতা রুদ্রনীলকে কেন একটি শিক্ষা সংসদের মাথায় বসানো হল, তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে তাঁর নিয়োগের সময়ই। এখন আবার বৃত্তিমূলক ও কারিগরি শিক্ষা সংসদকে যুক্ত করে দেওয়ার ব্যাপারে প্রশাসনিক স্তরে আলোচনা চলছে। সে ক্ষেত্রে ওই দুই সংসদের সভাপতি পদগুলি আর থাকবে না। একত্রিত হয়ে সংসদের মাথায় একজন চেয়ারম্যান থাকবেন। চেয়ারম্যান কে হবেন, জল্পনা শুরু হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে রুদ্রনীলের ভাগ্যও অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।
তিনি এ সবের কিছুই জানেন না বলে রুদ্রনীলের দাবি। সোমবার তাঁর বক্তব্য, “সংসদের কমিটিই নেই। তা সত্ত্বেও সংসদের আধিকারিকদের সাহায্যে দীর্ঘদিন ধরে চলা পাঠ্যক্রম বদলে নতুন ধাঁচে সেগুলিকে সাজিয়েছি। আরও বদলের পরিকল্পনা আছে। এখন যদি দুই সংসদ মিলে একটি করা হয়, সভাপতি পদগুলিই যদি না থাকে, তা হলে কী হবে, তা জানি না।” কমিটির অভাবে যে তাঁর কাজ করতে অসুবিধা হচ্ছে, আগেও সে কথা জানিয়েছিলেন রুদ্রনীল। এ দিন ফের একই অভিযোগ তাঁর গলায়।
তবে সংসদ একত্র হয়ে যাবে কি না, তা নিয়ে ইতিমধ্যেই শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে তিনি কথা বলেছেন বলে জানান রুদ্রনীল। তাঁর দাবি, পার্থবাবু মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করে তাঁকে জানাবেন। যদিও পার্থবাবু সেই বৈঠক নিয়ে মুখ খোলেননি। সোমবার সকালে একটি অনুষ্ঠানের শেষে প্রশ্ন করা হলে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, “অনেকেই আমার সঙ্গে আলোচনা করতে আসেন। আলাদা করে কিছু বলার নেই।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy