—ফাইল চিত্র।
ভোটের ফল বেরোনোর পরেই তাঁর আতিথ্যে বিধাননগরে বীজ বপন হয়েছিল ‘নবজাগরণ’-এর। এ বার ভোটের ফলাফল নিয়ে বিধাননগরের বিধায়ক ও রাজ্যের মন্ত্রী সুজিত বসুকে নাম না করে কটাক্ষ করলেন বিধাননগরেরই মেয়র তথা তৃণমূলের আর এক বিধায়ক সব্যসাচী দত্ত।
বাম আমলের একটি মামলায় হাজিরা দিতে বুধবার বারাসত আদালতে এসেছিলেন বিধাননগরের মেয়র তথা রাজারহাট-নিউটাউনের বিধায়ক সব্যসাচী। আদালতের বাইরে তাঁর মন্তব্য, ‘‘পচা আলুতেই আলুর দমের স্বাদ বাড়ে। ভোটের আগে অনেকে বলেছিল, পচা আলুকে সরিয়ে রাখতে হয়। আমার মনে হয়েছে, আমিই সেই পচা আলু। ফলাফল বলে দিচ্ছে যে, পচা আলুতে স্বাদ বাড়ে। আর টাটকা আলু তো হড়কে গেল!’’
নাম না করে সব্যসাচী দমকলমন্ত্রীর উদ্দেশে আরও বলেন, ‘‘তিনি বারাসত লোকসভার দায়িত্বে ছিলেন। নিজের ওয়ার্ডেই জিততে পারেন না! আমি যেখানে থাকি, সেই বিধাননগরেও হেরেছে দল আর ওঁর দায়িত্ব বাড়ছে, এটাই বাংলার ট্রেন্ড। আগামী দিনে উনি নাকি আবার অল ইন্ডিয়ার লিডার হবেন!’’ ভোটের ফল ঘোষণার পরে মন্ত্রিসভার রদবদলে তাঁর আগের দফতরের সঙ্গে বন দফতরের প্রতিমন্ত্রীর বাড়তি দায়িত্ব পেয়েছেন সুজিত। নিজের কেন্দ্র বিধাননগরে পিছিয়ে পড়ার পরেও বাড়তি দায়িত্ব, এই সূত্র ধরেই খোঁচা দেন সব্যসাচী। রাজ্যে বিজেপির ভোট বৃদ্ধি নিয়ে সব্যসাচীর মত, ‘‘এটা মানুষের ভোট, মানুষের রায়।’’ শুধু সাইরেন বাজিয়ে ঘুরে বেড়ালেই হয় না বলেও দলের নেতাদের বিরুদ্ধে বিধাননগরের মেয়র এ দিন কটাক্ষ করেন। বিধাননগরের মেয়রের এই অভিযোগকে গুরুত্ব দিতে নারাজ বিধাননগরের বিধায়ক তথা মন্ত্রী সুজিত। তিনি বলেন, ‘‘বাজে বিতর্ক করার সময় নয়। এই সময় আত্মসমীক্ষা করার কাজ চলছে। যিনি এত বড় বড় কথা বলছেন, তিনি একটি সভা পর্যন্ত করেননি! হুটার বাজিয়ে যাওয়ার প্রয়োজন পড়ে জরুরি পরিষেবা দেওয়ার কাজেই।’’
বারাসত লোকসভা কেন্দ্রে এ বার তৃণমূলের কাকলি ঘোষ দস্তিদার ফের জিতলেও সুজিতের বিধাননগর বিধানসভা এলাকায় সাড়ে ১৮ হাজার ভোটে তিনি পিছিয়ে ছিলেন। সব্যসাচীর রাজারহাট-নিউটাউন বিধানসভায় ২৩ হাজারেরও বেশি ‘লিড’ পেয়েছেন কাকলি। বিধাননগরে দমকলমন্ত্রী এবং মেয়রের ওয়ার্ডে তৃণমূল পিছিয়ে ছিল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy