তদন্ত: স্মারকের খোঁজে বিনয় মজুমদারের বাড়িতে পুলিশ। নিজস্ব চিত্র
খুব বুঝেশুনে কোনও শিক্ষিত লোকই সরিয়েছে বিনয় মজুমদারের পাওয়া স্মারক, এমনটাই অনুমান পুলিশের। কিন্তু গোটা ঘটনায় খুবই ক্ষুব্ধ বনগাঁর সাহিত্যপ্রেমী মানুষ। বিনয়ের সঙ্গে একাত্মতা ছিল এখানকার বহু মানুষের। জীবনের বহু বছর গাইঘাটার শিমুলপুরের বাড়িতে কাটিয়েছিলেন অকৃতদার পণ্ডিত মানুষটি।
বনগাঁর পুলিশ সুপার তরুণ হালদার বলেন, ‘‘নির্দিষ্ট মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু হয়েছে। সম্ভাব্য সমস্ত দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’’
মঙ্গলবার সকালে বিনয়বাবুর বাড়িতে গিয়ে দেখা গেল, গ্রন্থাগারের সদস্য ও স্থানীয় কবি-সাহিত্যিক মানুষ, পঞ্চায়েত প্রধান জড়ো হয়েছেন। কবি তীর্থঙ্কর মৈত্র বলেন, ‘‘বিনয়দার স্মারক চুরির ঘটনা শুনে অত্যন্ত লজ্জাবোধ করছি। সঠিক শিক্ষার অভাবে আমরা প্রকৃত সম্পদ চিনি না। মননশীলতা ও চেতনার অভাবে আমরা প্রকৃত সম্পদগুলি নষ্ট করে ফেলছি।’’ গ্রন্থাগারের সম্পাদক বৈদ্যনাথ দলপতি বলেন, ‘‘মনে হচ্ছে আমাদের হৃদয়টাই ভেঙে গিয়েছে। আমাদের একটা সম্পদ নষ্ট হল। আমরা অনুতপ্ত।’’
সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে। কেউ লিখেছেন, ‘সভ্যতা, শিক্ষা, সংস্কৃতির চুড়ান্ত অধঃপতন।’ কেউ মন্তব্য করেছেন, ‘নোবেল চুরি হয়ে গেল, আর সাহিত্য অ্যাকাডেমি!’ সকলেরই দাবি, পুলিশ দ্রুত পদক্ষেপ করে স্মারক খুঁজে বের করুক। নোবেলের মতো এটি যেন পাকাপাকি বেপাত্তা হয়ে না যায়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy