(বাঁ দিকে) সন্দীপ ঘোষ এবং অভিজিৎ মণ্ডল (ডান দিকে) —ফাইল চিত্র।
রাজ্য সরকারের অনুমতি ছাড়াই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। শুক্রবার শিয়ালদহ আদালতে এমনই দাবি করলেন টালা থানার প্রাক্তন ওসি অভিজিৎ মণ্ডল। তাঁর আইনজীবীর প্রশ্ন, রাজ্য সরকারের অনুমতি ছাড়া কী ভাবে একটি থানার ওসিকে গ্রেফতার করল সিবিআই। অন্য দিকে, আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের আইনজীবীর দাবি, তাঁর মক্কেলের বিরুদ্ধে যা অভিযোগ তোলা হয়েছে, তা সবই জামিনযোগ্য। অভিজিতের আইনজীবীর দাবিও একই।
তিন দিন জেল হেফাজত শেষে শুক্রবার সন্দীপ এবং অভিজিৎকে আদালতে হাজির করানো হয়। সিবিআই আবার তাঁদের ১৪ দিন জেল হেফাজতের আবেদন করেছে। তাদের দাবি, আরজি কর-কাণ্ডে প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা হয়েছিল। সন্দীপ এবং অভিজিতের বিরুদ্ধে সেই সেই অভিযোগের প্রমাণ মিলেছে। যে পথে তদন্ত চলছে, তা জানেন সন্দীপেরা। এমন অবস্থায় তাঁরা জামিন পেলে তথ্যপ্রমাণ নষ্ট হতে পারে। সাক্ষীদের উপর প্রভাব খাটাতে পারেন তাঁরা।
সন্দীপের আইনজীবী আদালতে জানান, সিবিআই ধরেই নিয়েছে যে তাঁর মক্কেলকে জামিন দেওয়া হবে না। প্রমাণ লোপাটের যে অভিযোগ করা হচ্ছে, তা জামিনযোগ্য বলেও আদালতে দাবি সন্দীপের আইনজীবী। একই দাবি করলেন অভিজিতের আইনজীবী। তাঁর কথায়, ‘‘ওদের (সিবিআই) যেটা মনে হয়, সেটা আমাদের বলতে হবে। অভিজিতের বিরুদ্ধে যে অভিযোগগুলি সিবিআই করছে সব জামিনযোগ্য।’’
তার পরই অভিজিতের আইনজীবীর দাবি, আগাম রাজ্য সরকারের অনুমতি না নিয়ে কী ভাবে ওসিকে গ্রেফতার করলেন? তাঁর আবেদন, ‘‘প্রতিটা অভিযোগ জামিনযোগ্য। যে কোনও শর্তে জামিন দিন।’’ অভিজিৎ আদালতে বলেন, ‘‘ওরা প্রমাণ নষ্টের অভিযোগ করছে। ওরা টালা থানা থেকে সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করেছিল। তার ভিত্তিতে আমাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আমি টালা থানার ওসি ছিলাম, কিন্তু সেখান সিসিটিভি নষ্টের কোনও অভিযোগ তো নেই।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy