সিবিআই দফতর থেকে বেরিয়ে আসছেন অর্ণব ঘোষ। ছবি: স্নেহাশিস ভট্টাচার্য
সারদা কাণ্ডে রাজ্য সরকার গঠিত বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট)-এর অন্যতম কর্তা অর্ণব ঘোষকে প্রায় সাত ঘণ্টা টানা জিজ্ঞাসাবাদ করল সিবিআই। মঙ্গলবার সাড়ে ১০টা নাগাদ তিনি সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে হাজির হন। আজ, বৃহস্পতিবার তাঁকে ফের হাজিরা দিতে বলা হয়েছে বলে অর্ণব নিজেই জানিয়েছেন।
এ দিকে, বারাসত বিশেষ আদালতে এ দিনও রাজীব কুমারের তরফে আগাম জামিনের কোনও আবেদন করা হয়নি। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক থেকে তাঁর সিআইডিতে যোগ দেওয়ার ছাড়পত্র পাওয়া এখনও অনিশ্চিত। বুধবারও সারা দিন তাঁর দু’টি ফোন বন্ধ ছিল। সিবিআইয়ের এক কর্তার কথায়, ‘‘টেলিফোনে নজরদারি চালিয়ে বহু ‘রহস্যের’ কিনারা করা রাজীব কুমার এখন নিজেই ফোন বন্ধ রেখে লুকিয়ে আছেন। আশা করব, তদন্তে তিনি সহযোগিতা করবেন।’’
যদি রাজীব তদন্তে ‘সহযোগিতা’ করতে রাজি হন তা হলে কি সিবিআই তাঁকে সারদা মামলায় রাজসাক্ষী করতে পারে? সিবিআইয়ের এক কর্তা জানান, উনি এখনও সারদা মামলায় অভিযুক্ত নন। অভিযুক্তদের থেকেই রাজসাক্ষী করা হয়। তা ছাড়া, সুপ্রিম কোর্টে হলফনামা দিয়ে সিবিআই যাঁকে হেফাজতে নিয়ে জেরা করতে চেয়েছে, তাঁকে রাজসাক্ষী করার কোনও ভাবনা এখনও নেই। তবে রাজীবের তরফে দিল্লিতে সিবিআই ও কেন্দ্রীয় সরকারের শীর্ষমহলে জোর দরবার শুরু হয়েছে বলে মেনে নিয়েছেন সিবিআইয়ের একাংশ। যদিও তদন্তকারী সংস্থা সূত্রের খবর, রাজীব তদন্তে যোগ দিলে তবেই ‘অন্য প্রসঙ্গ’ ভেবে দেখা হবে।
সিবিআইয়ের বেশ কয়েকজন অফিসার এ দিন অর্ণবকে টানা জেরা করেন। মাঝে সিটের অন্যতম তদন্তকারী অফিসার দিলীপ হাজরাকেও ডেকে নেওয়া হয়েছিল। সিবিআই সূত্রে খবর, এ দিন দু’দফায় দিলীপ এবং অর্ণবকে মুখোমুখি বসানো হয়েছিল। সিবিআইয়ের দাবি, তদন্তকারী অফিসারেরা সারদা তদন্তের গতিপ্রকৃতি বিধাননগরের তৎকালীন গোয়েন্দাপ্রধান অর্ণবকে জানাতেন। সারদার নানা অফিস থেকে বাজেয়াপ্ত করা সব নথিও তাঁর কাছেই জমা পড়ত।
সিবিআইয়ের দাবি, রাজীব কুমারের কাছ থেকে লিখিত বা মৌখিক নির্দেশ পেয়ে তা নিচুতলার অফিসারদের জানাতেন অর্ণব। সেই অনুসারে চলত সারদা তদন্ত। শিলংয়ের জিজ্ঞাসাবাদ পর্বে রাজীব আবার দাবি করেছিলেন, তিনি সারদা তদন্তের বিশদ কিছু জানতেন না। তা অর্ণবই দেখতেন। ফলে এখন অর্ণবের কাছ থেকে সিবিআই জানতে চায়, রাজীবের নির্দেশ ছাড়াই তিনি সিদ্ধান্ত নিতেন কি না? সেই সঙ্গে সারদার বহু নথিপত্র এখনও সিবিআইয়ের হাতে জমা পড়েনি। সেই সব নথি কোথায় গেল?
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy