একটি মামলায় জামিন পেলেই তৃণমূলের সাসপেন্ড হওয়া সাংসদ কুণাল ঘোষের বন্দিদশা আপাতত কাটবে। মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টে সেই জামিন মামলাটি ওঠে। তাদের বিশেষ আইনজীবী আদালতে উপস্থিত থাকতে পারেননি বলে সেই শুনানি মুলতবি করার আবেদন করেছিল সিবিআই। কিন্তু তা মানেনি দুই বিচারপতির বেঞ্চ। বরং ডিভিশন বেঞ্চের অন্যতম বিচারপতি অসীম রায় সিবিআইকে বলেন, ‘‘বিশেষ আইনজীবী না-থাকার জন্য মামলার শুনানি মুলতবি রাখলে তো অভিযুক্তের মৌলিক অধিকার খর্ব করা হবে।’’
২১ সেপ্টেম্বর বিচারপতি অসীম রায় ও বিচারপতি মলয়মরুত বন্দ্যোপাধ্যায়ের আদালতে জামিনের আবেদন করেন কুণাল। এ দিন তারই শুনানি হওয়ার কথা ছিল।
ইতিমধ্যেই রাজ্যের দায়ের করা ১৭টি মামলায় জামিন পেয়ে গিয়েছেন সারদা কাণ্ডে অভিযুক্ত কুণাল। সিবিআইয়ের দায়ের করা দু’টি মামলার একটিতেও জামিন মিলেছে। বাকি রয়ে গিয়েছে এই মামলাটি। দিন কয়েক আগেই সারদা মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত মদন মিত্র জামিন পেয়ে গিয়েছেন।
এ দিন সকালে হাইকোর্টে কুণালের জামিন মামলা ওঠার আগে সিবিআইয়ের আইনজীবী মহম্মদ আশরাফ আলি আদালতকে জানান, তাঁদের বিশেষ আইনজীবী কে রাঘবচারিলু এ দিন শুনানিতে হাজির থাকতে পারবেন না। শুনানি মুলতুবির অনুরোধ জানান আশরাফ। কিন্তু বিচারপতি অসীম রায় জানিয়ে দেন, এ দিনই শুনানি হবে। প্রয়োজনে সিবিআইয়ের তদন্তকারী অফিসারও সওয়াল করতে পারবেন।
এই মামলার তদন্তকারী অফিসার এস কে ত্রিপাঠীকে বিচারপতিরা জানান, আদালত তাঁর কাছে চার-পাঁচটি প্রশ্নের জবাব চায়। তাঁর ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে জেনে এসে অথবা মামলার কেস ডায়েরি দেখে তাঁকে সেই প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে। ঠিক হয়, বিকেলে মামলার শুনানি হবে। বিকেলে ত্রিপাঠীকে সঙ্গে নিয়ে হাজির হন সিবিআইয়ের এসপি উপেন্দ্র অগ্রবাল। তিনিও শুনানি মুলতবি রাখার আর্জি জানান। তখনই বিচারপতি অভিযুক্তের মৌলিক অধিকার নিয়ে মন্তব্য করেন।
এ দিন কুণালের আইনজীবী দেবাশিস রায় ও অয়ন চক্রবর্তী জানান, তাঁদের মক্কেল কোনও ভাবেই সারদা গোষ্ঠীর ব্যবসায় যুক্ত ছিলেন না। তিনি সারদা গোষ্ঠীর একজন কর্মী ছিলেন। বেঞ্চ প্রশ্ন তুলেছে, খবরের কাগজে চাকরির সময়ে কুণাল মাসে পঁয়ত্রিশ হাজার টাকা বেতন পেতেন। সেই বেতন কী ভাবে এক লাফে মাসিক পাঁচ লক্ষ ও পরে মাসিক পনেরো লক্ষ টাকা হয়ে গেল?
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy