তারাপীঠ রামপুরহাট উন্নয়ন পর্ষদে তিনি থাকতে চান না বলে জানিয়ে দিলেন বীরভূমের তৃণমূল সাংসদ শতাব্দী রায়। রবিবার রামপুরহাটে শতাব্দী বলেন, ‘‘পর্ষদে মতামত দেওয়ার কোনও জায়গা আছে বলে আমার মনে হয় না। যদি কোনও কাজের ক্ষেত্রে আমি কোনও বিষয়ে আলোচনা করতে না পারি, যদি আমার কোনও মতামত নেওয়া না হয় তাহলে পদটা আটকে রেখে কী করব?’’
চার দিন আগে তাঁর নিজের সাংসদ এলাকায় কাজ করতে বাধা দেওয়া হচ্ছে বলে সমাজমাধ্যমে ক্ষোভের কথা জানিয়েছিলেন শতাব্দী। তার পরেই তাঁকে নিয়ে জল্পনা দানা বাঁধে। শুক্রবার রাতে শতাব্দী রায়ের সঙ্গে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বৈঠকের পরে শতাব্দী তৃণমূলেই থাকলেন বলে ফের শনিবার ফেসবুকে জানান। এই পর্বের পরে রবিবার সকালে রামপুরহাটে আসেন তিনি। এ দিন রামপুরহাটে ট্রেন থেকে নামার পরে দলীয় কর্মীদের মধ্যে কোনও উচ্ছ্বাস দেখা যায়নি।
দলীয় কার্যালয়ে দুপুর বারোটা পর্যন্ত মন্ত্রী তথা তারাপীঠ রামপুরহাট উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান আশিস বন্দ্যোপাধ্যায় দলের কর্মীদে র সঙ্গে কাজ করলেও শতাব্দী রায়ের রামপুরহাট আসা নিয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি। এ দিন শতাব্দী জানান পর্ষদ ছাড়তে চেয়ে তিনি এর আগে ইস্তফাও দিয়েছেন একাধিকবার। তাঁর কথায়, ‘‘‘আমি দু’বার ইস্তফা দিয়েছিলাম। গৃহীত হয়নি। কিন্তু এই ডামাডোলের মধ্যে আবার ইস্তফা দিলে ইস্যু তৈরি হবে, কিন্তু আমি ওখানে থাকতে চাই না।’’