তৃণমূলের প্রবীণ সাংসদ সৌগত রায়।
চলতি বাজেট অধিবেশনে বাংলার সাংসদেরা তিলার্ধ সুযোগ পেলেই প্রতিপক্ষের উদ্দেশে রাজনৈতিক তির ছুড়ছেন। গত কাল লোকসভায় রাষ্ট্রপতির বক্তৃতা সংক্রান্ত ধন্যবাদজ্ঞাপক প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা শুরু করে বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় অবতারণা করেছিলেন ‘পিসি-ভাইপো’ প্রসঙ্গ। আজ তার জবাব দিতে আসরে নামলেন তৃণমূলের প্রবীণ সাংসদ সৌগত রায়। তাঁর বক্তব্য, ‘‘আগামী দশ বছর পশ্চিমবঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই মুখ্যমন্ত্রী থাকবেন। তার পর সংসদে এসে বিজেপি-র সঙ্গে না হয় রাজ্যের রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করা যাবে।’’ তাঁর স্লোগান, ‘‘যতই করো ফাটাফাটি, নবান্নে সেই হাওয়াই চটি!’’
আজ সৌগতবাবুর বক্তৃতার সিংহভাগই ছিল বাংলার রাজনীতিকে কেন্দ্র করে। গত কাল আমপানের ত্রাণের টাকা তৃণমূল চুরি করেছে বলে অভিযোগ এনেছিলেন লকেট। আজ সৌগতবাবুর পাল্টা জবাব, ‘‘প্রধানমন্ত্রী ঘূর্ণিঝড়ের পরে যে টাকা দেবেন বলেছিলেন, তা তিনি দেননি। গত কালই নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এ ব্যাপারে বিশদে জানিয়েছেন। এই সরকার নিষ্ঠুর। ন্যায্য টাকা দিচ্ছে না আবার চুরির অপবাদ দিচ্ছ!’’ বিজেপির নেতা মন্ত্রীদের ঘনঘন পশ্চিমবঙ্গ যাওয়ার প্রসঙ্গটিকে ‘রাজনৈতিক পর্যটন’ হিসেবে তুলে ধরে তৃণমূলের এই নেতা বলেন, ‘‘এ সব করে কিছু হবে না। আপনারা যত বেশি বাংলায় যাবেন, গুজরাতের সাম্প্রদায়িক অশান্তির কথা আরও বেশি করে মনে করবেন সেখানকার মানুষ। বিজেপি-র সাম্প্রদায়িক রাজনীতি এ বার গোটা দেশেই বন্ধ হওয়া প্রয়োজন।’’
সম্প্রতি নেতাজির জন্মদিবসে ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালের অনুষ্ঠানে ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনি নিয়ে বিতর্কের কথা তুলে বিজেপিকে বিঁধেছেন সৌগত রায়। পাশাপাশি গত কাল প্রধানমন্ত্রীর ‘আন্দোলনজীবী’ সংক্রান্ত মন্তব্যের উল্লেখ করে তাঁর বক্তব্য, ‘‘বিজেপি আন্দোলনের নামে চিরকালই ভীত। তাদের কোনও নেতাকে আন্দোলন করতে দেখা যায়নি। দেশের স্বাধীনতার সময় শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় এক দিনও জেলে যাননি। অন্য দিকে জওহরলাল নেহরু ৯ বছর জেলে ছিলেন।’’ গুলাম নবির বিদায়ে আবেগঘন মোদীকে উদ্দেশ্য করে তাঁর বক্তব্য, ‘‘আজ রাজ্যসভায় গুলাম নবি আজাদের জন্য প্রধানমন্ত্রীর চোখে জল এসেছে। শুনে ভাল লাগল। প্রধানমন্ত্রীরও হৃদয় আছে। কিন্তু (আন্দোলনে) প্রায় দু’শো জন চাষি মারা গিয়েছেন। বিনম্র নিবেদন, ওঁদের জন্যও একটু চোখের জল ফেলুন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy