অরূপ বিশ্বাস। — ফাইল চিত্র।
চন্দ্রযান-৩-এর সাফল্য এনে দেওয়া বিজ্ঞানীরা ১৭ মাস ধরে বেতন পাচ্ছেন না। এমনটাই অভিযোগ করলেন রাজ্যের বিদ্যুৎ মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। শুক্রবার বিধানসভা অধিবেশনে এই অভিযোগ করলে প্রতিবাদে সরব হন বিজেপি বিধায়করা।
শুক্রবার শেষ লগ্নে বলতে ওঠেন মন্ত্রী। অভিযোগের সুরে তিনি বলেন, ‘‘যে বিজ্ঞানীদের সাফল্য নিয়ে আমরা এত আনন্দ করছি। গর্বের কথা বলছি, সেই বিজ্ঞানীরা দিনরাত পরিশ্রম করেছেন। তাঁরাই ১৭ মাস ধরে বেতন পাচ্ছেন না। ৩২ মাস ধরে বাজেট কাটছাঁট করা হয়েছে।’’ মন্ত্রীর এমন অভিযোগ শুনে নিজের আসন থেকেই স্পিকারের কাছে প্রতিবাদ জানাতে থাকেন বিজেপি পরিষদীয় দলের মুখ্য সচেতক মনোজ টিগ্গা, বিধায়ক অশোক লাহিড়ী, বিশ্বনাথ কারকরা। তবুও না থেমে নিজের যুক্তির সপক্ষে অরূপ দাবি করেন, বেশ কয়েকটি সংবাদমাধ্যমে এই সংবাদটি প্রকাশিত হয়েছে।
প্রসঙ্গত চন্দ্রযান-৩ এর সঙ্গে যুক্ত হলেও ওই বিজ্ঞানীরা ইসরো কর্মী নন। তাঁরা রাঁচীর হিন্দুস্থান ইঞ্জিনিয়ারিং কর্পোরেশনের কর্মী। গত ১৭ মাস সেখানে বেতন হয়নি বলে অভিযোগ। এই সংস্থাই চন্দ্রযান-৩ এর লঞ্চিংপ্যাড তৈরি করেছে বলে খবর।
অবশ্য শুক্রবার মন্ত্রীর দাবিতে, কর্ণপাত করেননি স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘‘এটা কেন্দ্রীয় সরকারের বিষয়। এ ভাবে এই বিষয়ে এখানে আলোচনা করা যায় না।’’ যদিও, মন্ত্রী পাল্টা বলেন, ‘‘কেন আলোচনা করা যাবে না? আমরা বিজ্ঞানীদের সাফল্য নিয়ে আলোচনা করছি আর তাদের দুরবস্থার কথা জানাতে পারব না?’’ তাঁর দাবি, বিজ্ঞানীদের বকেয়া বেতন অবিলম্বে দেওয়া হোক এবং বাজেটের দিকেও নজর দেওয়া হোক। মন্ত্রী যখন এসব বলছেন, তখন অধিবেশন দিনের মতো সমাপ্তি ঘোষণা করে দেন স্পিকার। বিজেপির তরফে পরে বিজেপি বিধায়ক মনোজ বলেন, ‘‘সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত কোনও খবর প্রমাণের ভিত্তি হতে পারে না। তাই এই ধরনের ভিত্তিহীন বিষয় নিয়ে আলোচনা না হওয়াই ভাল।’’ অপর বিজেপি বিধায়ক বিশ্বনাথ বলেছেন, ‘‘আজকের এই বিষয়ে আলোচনা করতে না দেওয়া নিয়ে স্পিকারের অবস্থান সঠিক।’’
প্রসঙ্গত, বুধবার সন্ধ্যায় ইসরোর বিজ্ঞানীদের প্রচেষ্টায় চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অবতরণ করেছে চন্দ্রযান-৩। সেই ঘটনায় দেশের বিজ্ঞানীরা সর্বত্র প্রশংসিত হচ্ছেন। তার মধ্যেই পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় ওই অভিযানে যুক্ত বিজ্ঞানীদের বেতন না পাওয়ায় বিষয়টি উত্থাপন করলেন মন্ত্রী অরূপ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy