—প্রতীকী ছবি।
যুব মোর্চার কর্মসূচিতে বাধার অভিযোগে দিনভর রাজ্যের একাধিক জায়গায় পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়ালেন বিজেপি নেতা-কর্মীরা। জাতীয় ভোটার দিবস উপলক্ষে নতুন ভোটারদের উদ্দেশে ভার্চুয়ালি বক্তৃতা করার কর্মসূচি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর। সেই কর্মসূচিতে রাজ্যে অন্তত ৫০ হাজার নতুন ভোটারকে অন্তর্ভুক্ত করার লক্ষ্যে বৃহস্পতিবার শ’দুয়েক জায়গায় বড় পর্দা লাগিয়ে সম্প্রচারের ব্যবস্থা করেছিল রাজ্য বিজেপির যুব মোর্চা। অভিযোগ, সকাল থেকে বিভিন্ন জায়গায় এই কর্মসূচিতে বাধা দেয় পুলিশ। একাধিক জায়গায় বড় পর্দা খুলে দেয়। সাউন্ড বক্সের সংযোগ খুলে দেওয়া হয়। শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ অবশ্য দাবি করেছেন, ‘‘কাজের দিনে রাস্তা আটকে রাজনীতি করা হলে পুলিশ যা প্রয়োজন, তা-ই করেছে!’’
বিজেপির উত্তর কলকাতা সাগঠনিক জেলার অন্তর্গত শ্যামবাজার মেট্রো স্টেশনের কাছে বাধার অভিযোগ উঠেছে শ্যামপুকুর থানার বিরুদ্ধে। চৌরঙ্গিতে একই ধরনের অভিযোগ উঠেছে মুচিপাড়া থানার বিরুদ্ধে। বেলেঘাটা থেকেও একই অভিযোগ। জেলা সভাপতি তমোঘ্ন ঘোষ বলেন, ‘‘আমরা বহু আগে থেকে এই কর্মসূচির জন্য অনুমতি চেয়েছিলাম। পুলিশ কাল গভীর রাতে মেল করে অনুমতি বাতিল করেছে। যদি অনুমতি না দেওয়ার হত, তা হলে প্রথম দিনই বাতিল করতে পারতো! এমন একটা সময় বাতিল করেছে, যাতে আমরা আদালতে না যেতে পারি।’’ একই ধরনের অভিযোগ এসেছে হুগলির চুঁচুড়া, উত্তর ২৪ পরগনার দমদম থেকে। এই ঘটনার প্রতিবাদে উত্তর কলকাতা সাংগঠনিক জেলার প্রতিটি থানায় কাল, শনিবার বিক্ষোভ দেখানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিজেপি। ঘটনার নিন্দা করে যুব মোর্চার সর্বভারতীয় সভাপতি তেজস্বী সূর্য সমাজ মাধ্যমে লিখেছেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যতই চেষ্টা করুন বাংলার যুব সমাজের মেজাজ বদল করার, তিনি উনি সফল হবেন না। বাংলার প্রগতিশীল যুব সমাজ গঠনমূলক রাজনীতির পক্ষে ভোট দেওয়ার জন্য সিদ্ধান্ত নিয়ে নিয়েছে’। রাজ্যে বিজেপির ভারপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় সহ-পর্যবেক্ষক অমিত মালবীয়ও নিজের এক্স হ্যান্ড্লে (পূর্বতন টুইটার) পুলিশি বাধার ভিডিও পোস্ট করে অভিযোগ করেছেন, ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলদাস পুলিশ বৈধ অনুমতি থাকা সত্ত্বেও নতুন ভোটারদের নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কর্মসূচি সম্প্রচারে বাধা দিয়েছে। গণতন্ত্রকে তুঁটি টিপে হত্যা করা হয়েছে।’’ তৃণমূলের তরফে কুণালের পাল্টা বক্তব্য, ‘‘বিজেপি বুঝতেই পারছে না যে ধর্ম, সংস্কৃতির প্রতি পূর্ণ শ্রদ্ধা ও ভক্তি রেখে দেশের যুব সমাজ সামনের দিকে এগিয়ে যেতে চায়। ত্রেতা যুগে ফিরে যেতে চায় না!’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy