রাজধানী এক্সপ্রেসের সফরে এ বার অতীতকে ফিরে দেখার সুযোগ পাবেন যাত্রীরা। ১৯১১ সালে দিল্লিতে রাজধানী সরানোর সময় থেকে আরও কত গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার বিবরণ ট্রেনের কামরায়। শিয়ালদহ-নয়াদিল্লি রাজধানী এক্সপ্রেসের একটি প্রথম শ্রেণির কামরায় শুরু হয়েছে চলমান জাদুঘর বা ‘মিউজ়িয়াম অন হুইলস্’। শিয়ালদহ ডিভিশনের ক্যারেজ এবং ওয়াগন বিভাগের তত্ত্বাবধানে কামরার এক দিকের দেওয়ালকে সাজিয়ে তোলা হয়েছে। রেলের তরফে ওই জাদুঘরকে বলা হচ্ছে আ টেল অব টু ক্যাপিটালস।
১৯১১ সালের ১২ ডিসেম্বর স্বাধীনতা আন্দোলনে উত্তাল অস্থির সময়ে কলকাতা থেকে দিল্লিতে সরল রাজধানী। রাজধানী হিসেবে সেজে উঠতে দু’দশক লাগে দিল্লির। এর মধ্যেই ১৯২৬ সালে আজমেরি গেট সংলগ্ন এলাকায় তৈরি হয় নতুন দিল্লি রেল স্টেশন। গোটা সময়কাল ছুঁয়ে রবীন্দ্রনাথের নোবেলপ্রাপ্তি, ভিক্টোরিয়া মেমেরিয়ালের পত্তন বা রাইটার্স বিল্ডিংয়ের অলিন্দে বিনয় বাদল দীনেশের দুঃসাহসী বীরগাথা— সব রয়েছে চলমান জাদুঘরে। শিয়ালদহ-নয়া দিল্লি রাজধানী এক্সপ্রেসের ২৫ বছরে এই বিশেষ উদ্যোগ শিয়ালদহ ডিভিশনের। হাওড়া-নয়াদিল্লি রাজধানী এক্সপ্রেসে টিকিটের অস্বাভাবিক চাহিদায় ২০০০ সালে রেলমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে ওই ট্রেন চালু হয়। কলকাতা ছুঁয়ে তার আগে অবশ্য রাজধানী এক্সপ্রেসের দু’টি ট্রেন চালু হয়েছিল হাওড়া থেকে। সপ্তাহে ছ’দিন হাওড়া-গয়া নয়াদিল্লি রাজধানী এক্সপ্রেসের পাশাপাশি রবিবার হাওড়া-পটনা নয়াদিল্লি রাজধানী এক্সপ্রেস ছোটে। ওই দুই ট্রেনের পর কলকাতা থেকে তৃতীয় রাজধানী হিসেবে শিয়ালদহ থেকে ওই ট্রেন চলা শুরু হয়। পরের দিকে দেশের অন্যতম বাণিজ্যসফল ট্রেন হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে ওই ট্রেন। শিয়ালদহের ডিভিশনাল ম্যানেজার রাজীব সাক্সেনা ক্যারেজ এবং ওয়াগন বিভাগের ব্যবস্থাপনায় ওই চলমান জাদুঘর চালুর উদ্যোগের প্রশংসা করেছেন। যাত্রীদের নিরাপদ এবং আরামপ্রদ সফর নিশ্চিত করার পাশাপাশি দেশের সাবেক এবং বর্তমান রাজধানী শহর দু’টির ইতিহাস, সংস্কৃতির সঙ্গে সবাইকে পরিচিত করাতেই রেলের পক্ষ থেকে ওই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)