সিজিও কমপ্লেক্সে কাঁটাতারের বেড়া। নিজস্ব চিত্র
পাঁচিলের উপর লোহার রেলিং তো ছিলই। এ বার তার উপর বসছে কাঁটাতারও। সল্টলেকের সিজিও (সেন্ট্রাল গভর্নমেন্ট অফিস) কমপ্লেক্সে। যেখানে রয়েছে সারদা কেলেঙ্কারির দুই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই ও ইডি-র দফতর। যেখানে ডেকে পাঠানো হচ্ছে বিভিন্ন প্রভাবশালী মানুষকে, যাঁদের নাম সারদা-তদন্তে কোনও না কোনও ভাবে উঠে আসছে। সিবিআই ও ইডি সূত্রে খবর, লোহার রেলিং-এর উপর কাঁটাতার বসানো থেকে ইঙ্গিত, সারদা-তদন্তে এ বার ডাকা হতে চলেছে আরও প্রভাবশালী কোনও ব্যক্তিত্বকে। সিবিআই সূত্রের খবর, কয়েক দিনের মধ্যেই রাজ্যের দুই মন্ত্রী ও শাসক দলের তিন সাংসদকে ডেকে পাঠিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে। পাঁচিলের উপর কাঁটাতার বসানো সে দিকেই ইশারা করছে।
বিধাননগরের সেক্টর ওয়ান-এর ডিএফ ব্লকে ইন্দিরা ভবনের পিছনেই এই সিজিও কমপ্লেক্স। আট তলা এই ভবনে সিবিআই, ইডি-সহ বিভিন্ন কেন্দ্রীয় সরকারি দফতর রয়েছে। ঢোকা-বেরোনোর জন্য রয়েছে দু’টি মূল ফটক। প্রায় ৪০ কাঠা জমির উপর তৈরি ওই ভবনটি পাঁচিলে ঘেরা। সেই পাঁচিলের উপরে রয়েছে লোহার রেলিং। এ বার সেই লোহার রেলিঙের উপরেই বসছে কাঁটাতার। ইতিমধ্যেই এক দিকে ওই তারকাঁটা বসানোর কাজ পুরোপুরি শেষ হয়েছে।
কিন্তু কেন নিরাপত্তা আরও আঁটোসাটো করার এই উদ্যোগ?
সিবিআই সূত্রের খবর, প্রভাবশালী ব্যক্তিদের আনা হলে পাঁচিলের লোহার রেলিং টপকেও কেউ ভিতরে ঢোকার চেষ্টা করতে পারেন। কিন্তু কাঁটাতার থাকলে তা মুশকিল। তাই, অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করতেই এই ব্যবস্থা হচ্ছে। অর্থাৎ এমন প্রভাবশালী কাউকে এ বার ডাকা হতে পারে যে, ক্ষুব্ধ জনতা কিংবা সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিরা পাঁচিল টপকেও ঢোকার চেষ্টা করবেন, এমনই ইঙ্গিত মিলছে সিবিআইয়ের তদন্তকারীদের একাংশের কথা থেকে।
তদন্তে নেমে সিবিআই ইতিমধ্যে ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের কর্তা দেবব্রত সরকার ওরফে নিতু ও ব্যবসায়ী সন্ধির অগ্রবালকে গ্রেফতার করেছে। ঘণ্টার পর ঘণ্টা জেরা করা হয়েছে রাজ্য পুলিশের অবসরপ্রাপ্ত ডিজি, তৃণমূল-ঘনিষ্ঠ রজত মজুমদারকে। ইডি ইতিমধ্যেই জিজ্ঞাসাবাদ করেছে রাজ্যের মন্ত্রী শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় এবং তৃণমূলের তিন সাংসদ মিঠুন চক্রবর্তী, সৃঞ্জয় বসু ও অর্পিতা ঘোষকে। ইডি দীর্ঘ ক্ষণ জেরা করেছে অভিনেত্রী-পরিচালক অপর্ণা সেনকেও।
তা হলে সিজিও কমপ্লেক্সে কাঁটাতারের ঘেরাটোপ দেওয়ার অর্থ কি এঁদের চেয়েও প্রভাবশালী কাউকে এ বার তলব করা হবে? সিবিআই এবং ইডি-র তদন্তকারীরা খোলসা করে কিছু বলতে চাননি। শুধু কাঁটাতার নয়, গোটা সিজিও কমপ্লেক্স চত্বরে সিসিটিভি লাগানোরও পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। যাতে চার পাশের উপর নজরদারি করা যায়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy