টানা বৃষ্টির জেরে কলকাতা-সহ শহরতলির বিভিন্ন রাস্তায় জমেছে জল। জমা জলের দুর্ভোগের মধ্যেই চিন্তা বাড়িয়েছে রাস্তায় পড়ে থাকা বিদ্যুতের খুঁটি ও তার। এর জেরে গত কয়েক দিনে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে রাজ্যে মৃত্যু হয়েছে প্রায় ১২ জনের। এর মধ্যে বুধবার রাত এবং বৃহস্পতিবার সকালে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে তিন জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতদের এক জনের বাড়ি মালদহে। অন্য দু’জন বেলঘরিয়া এবং আগরপাড়ার বাসিন্দা।
বুধবার রাতে আগরপাড়ার তারাপুকুর অঞ্চলে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় দীপক চৌধুরী নামের এক ব্যক্তির। তার বয়স ৬৫ বছর। বৃহস্পতিবার সকালে বেলঘরিয়ার টেক্সম্যাকো কারখানার জমা জলে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হয়েছে সেখানকার এক শ্রমিকের। মৃত ব্যক্তির নাম সোনা রায় (৪০)। মৃতের সহকর্মীদের অভিযোগ, সোনাকে জমা জলের মধ্যেই কাজ করতে বাধ্য করেন কারখানা কর্তৃপক্ষ। এই মৃত্যুর জন্য কর্তৃপক্ষের উদাসীনতাকে দায়ী করে বিক্ষোভও দেখিয়েছেন শ্রমিকরা।
বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যুর ঘটনায় মালদহের মোথাবাড়ি থানার সারাফতটোলা এলাকায় বৃহস্পতিবার ছড়িয়েছে উত্তেজনা। পরিস্থিতি সামলাতে সেখানে গিয়েছিল বিশাল পুলিশবাহিনী। মৃতের নাম সিদ্দিকি শেখ (৬০)। স্থানীয়দের অভিযোগ, বিদ্যুৎ দফতরের কর্মীরা কাজ করে চলে যাওয়ার পর মাটিতে পড়েছিল বিদ্যুতের তার। তাতেই বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ওই ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ গ্রামবাসীদের। হবিবপুর থানা রিসিপুর এলাকায় জল আনতে গিয়ে এক গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে। মৃতের নাম তুলসী সিংহ। বুধবার মালদহের গাজোলে হরপ্রসাদ ভট্টাচার্য নামের এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। চাষের কাজে যাওয়ার পথে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন তিনি।