টুইট করে মোদী সরকারকে আক্রমণ তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেনের। নিজস্ব চিত্র।
সাসপেনশনের পর টুইট করে কেন্দ্রীয় সরকারকে আক্রমণ করলেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ শান্তনু সেন। কেন্দ্রকে তাঁর হুঁশিয়ারি এভাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৃণমূলকে চুপ করানো যাবে না। শুক্রবার বাদল অধিবেশনের বাকি দিনগুলির জন্য শান্তনুকে সাসপেন্ড করেন রাজ্যসভার চেয়ারম্যান বেঙ্কাইয়া নাইডু। তারপরেই সংসদে প্রতিবাদে সরব হন তৃণমূল সাংসদরা। দলনেতা ডেরেক ও’ব্রায়েন চেয়ারম্যানকে অনুরোধ করেন শান্তনুর সাসপেনশন প্রত্যাহারের। কিন্তু সাসপেনশন প্রত্যাহার করা হয়নি। একের পর এক কড়া বিবৃতি দিতে শুরু করেন তৃণমূল সাংসদরা।
সাসপেনশনের কয়েক ঘণ্টা পর টুইট করে কেন্দ্রকে নিশানা করেন শান্তনু। টুইটে তিনি লেখেন, ‘সংসদ থেকে আমাকে অসংসদীয়ভাবে সাসপেন্ড করার জন্য নরেন্দ্র মোদী ও বিজেপি সরকারকে ধন্যবাদ। কিন্তু আমি জোর দিয়ে বলতে পারি এভাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আর তৃণমূলের প্রতিবাদী কণ্ঠকে চুপ করিয়ে দিতে পারবেন না। ভারতীয় জাসুস পার্টির মন্ত্রী হরদীপ পুরী হয়তো তাঁর গুন্ডামির জন্য পুরস্কৃত হলেন।’
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার সংসদে পেগাসাস নিয়ে বিতর্ক নিয়ে সংসদে বিবৃতি দিচ্ছিলেন কেন্দ্রীয় তথ্য প্রযুক্তিমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণো। বিবৃতি চলাকালীন তাঁর হাত থেকে কাগজ কেড়ে নিয়ে ছিঁড়ে ফেলেন শান্তনু। ছেঁড়া কাগজ তিনি ছুড়ে দেন রাজ্যসভার ডেপুটি চেয়ারম্যান হরিবংশ নারায়ণ সিংহের আসনে দিকে। এই ঘটনার জন্যই শুক্রবার রাজ্যসভার অধিবেশন থেকে শান্তনুকে সাসপেন্ড করা হয়। কিন্তু ডেরেক পাল্টা অভিযোগ করেন, বৃহস্পতিবার কাগজ ছেঁড়ার ঘটনার পর শান্তনুর দিকে তেড়ে গিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হরদীপ সিংহ পুরী। তাঁর আরও অভিযোগ, ওই সময় হরদীপ অসংসদীয় শব্দ বলেছিলেন শান্তনুকে। তৃণমূলের রাজ্যসভার দলনেতা প্রশ্ন তোলেন, ‘একই ঘটনায় অন্য অভিযুক্ত (মন্ত্রী হরদীপ সিংহ পুরী) ছা়ড় পেলেন কেন?’উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ২১ সেপ্টেম্বর রাজ্যসভায় রুল বুক ছেঁড়ার ঘটনায় কংগ্রেস, আপ, সিপিএম ও তৃণমূলের ডেরেক এবং দোলা সেনকে সাসপেন্ড করা হয়েছিল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy