মতুয়া মহাসঙ্ঘের সঙ্ঘাধিপতি শান্তনু ঠাকুর। ফাইল চিত্র।
নাগরিকত্ব আইন প্রয়োগ করতে না পারলে রাজ্যের নমঃশূদ্র মতুয়া সম্প্রদায়ের মানুষেরা রাস্তায় নামবেন বলে দাবি করলেন বনগাঁর বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুর। রবিবার পূর্ব বর্ধমানের কালনায় মতুয়া মহাসম্মেলনে যোগ দিয়ে তিনি বলেন, ‘‘কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে আমার প্রশ্ন, কিসের ভয়ে সিএএ চালু করতে পারছে না? যদি বিরোধীদের ভয়ে এটা চালু করতে না পারে, তাহলে পশ্চিমবঙ্গের তিন কোটি নমঃশূদ্র, মতুয়া সম্প্রদায়ের মানুষ রাস্তায় নামবেন।’’ এ দিনই উত্তর ২৪ পরগনার হাবড়ায় রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূলের জেলা সভাপতি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক শান্তনুকে তৃণমূলে যোগ দিতে আহ্বান জানান।
নাগরিকত্ব আইনের প্রয়োগ নিয়ে কিছু দিন ধরেই দলের সঙ্গে দূরত্ব বাড়ছে মতুয়া মহাসঙ্ঘের সঙ্ঘাধিপতি শান্তনুর। কয়েক দিন আগে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এ রাজ্যে এসে জানান, করোনা পরিস্থিতির মধ্যে এত বড় অভিযান সম্ভব নয়। কিন্তু শান্তনুর দাবি, ‘‘করোনা পরিস্থিতির সঙ্গে নাগরিকত্ব আইন কার্যকরের কোনও সম্পর্ক থাকতে পারে না। তা হলে বিহারে ভোট হল কী করে? বড় বড় জনসভাই বা হচ্ছে কী করে?’’
রবিবার কালনার শ্রীরামপুর আশ্রমপাড়ায় মতুয়া সম্মেলনে যোগ দিয়ে শান্তনু বলেন, ‘‘বর্তমান কেন্দ্রীয় সরকার তো ৫০ বছর থাকবে না। এই রাজ্য সরকার আগামী বার না-ও থাকতে পারে। তাহলে কোন সরকার আমাদের দায়িত্ব নেবে? নিজেদের দায়িত্ব নিজেদেরই নিতে হবে।’’ কেন্দ্রীয় সরকারের উদ্দেশ্যে তাঁর প্রশ্ন, ‘‘আপনাদের ভয় কীসের? দাঙ্গা প্রতিরোধ করার ক্ষমতা আমাদের রয়েছে।’’
গত কয়েক মাসে বিজেপির নানা কর্মসূচি এড়িয়ে চলায় শান্তনুর রাজনৈতিক অবস্থান নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়েছে। শনিবার তিনি জানিয়েছিলেন, তাঁর রাজনৈতিক অবস্থান ঠিক করবে মতুয়া মহাসঙ্ঘ। এর পরেই এ দিন হাবড়ায় বঙ্গধ্বনি কর্মসূচিতে গিয়ে মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় বলেন, ‘‘শান্তনু ঠাকুরকে বলছি, বিজেপি আপনাকে কাজ করতে দেবে না। যদি আমাদের সঙ্গে কাজ করতে চান, তা হলে তৃণমূলে আপনাকে সুস্বাগত। আসুন, হাতে হাত মিলিয়ে মতুয়াদের জন্য কাজ করি।’’ শান্তনুর প্রতিক্রিয়া, ‘‘এ নিয়ে কোনও মন্তব্য করব না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy