কেন্দ্রীয় সরকারের কথা মতো রাজ্য সরকার নির্দিষ্ট কিছু শর্ত পূরণ করলে পশ্চিমবঙ্গকে একশো দিনের কাজ এবং প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার টাকা দেওয়া হবে বলে ফের কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী শিবরাজ সিংহ চৌহান জানালেন।
গত কালই সংসদে তৃণমূল সাংসদেরা একশো দিনের কাজের প্রকল্পে কেন্দ্রীয় বঞ্চনার অভিযোগে সরব হয়েছিলেন। সেখানে শিবরাজ জানিয়েছিলেন, রাজ্যে অনিয়মের ফলেই টাকা বন্ধ রয়েছে। আজ দিল্লিতে এক সাংবাদিক সম্মেলনে শিবরাজ বলেন, ‘‘কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্যকে যে সব শর্ত পূরণ করতে বলেছে, রাজ্য তা পূরণ করলে আমরা অবশ্যই অর্থ মঞ্জুর করব।’’ তিনি পাল্টা প্রশ্ন করেন, ‘‘যদি যে উদ্দেশ্যে টাকা দেওয়া হয়েছে, সেখানে টাকা খরচ না হয়, প্রকল্পের নাম বদলে দেওয়া হয়, অযোগ্য ব্যক্তিকে যোগ্যদের তালিকায় ঢুকিয়ে দেওয়া হয়, যোগ্যদের বঞ্চিত করা হয়, অর্থের অপব্যবহার করতে বড় কাজ ছোট ছোট ভাগে ভেঙে দেওয়া হয়, মাপকাঠি না মানা হয়, তা হলে আমরা উত্তর চাইব না? তার পরেও টাকাদিতে থাকব?”
শিবরাজ আরও বলেছেন, ‘‘পশ্চিমবঙ্গ প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনায় টাকা পেয়েছে। কারণ সেখানে অনিয়ম মেলেনি।’’ পশ্চিমবঙ্গের মতো অন্যান্য রাজ্যেও একশো দিনের কাজে অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে। শিবরাজের নিজের রাজ্য মধ্যপ্রদেশও রয়েছে তার মধ্যে। তা নিয়ে শিবরাজ বলেন, ‘‘যেখানে অনিয়ম হয়েছে, সেখানে টাকা আটকানো হবে।’’
আজ রাজ্যসভায় তৃণমূল সাংসদ দোলা সেন নারী এবং শিশু কল্যাণ মন্ত্রকের আইসিপিএস (ইন্টিগ্রেটেড চাইল্ড প্রোটেকশন স্কিম)-এ কেন্দ্র-রাজ্য সমন্বয় ঠিক মতো হচ্ছে কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন।
জবাবে কেন্দ্রীয় নারী ও শিশু কল্যাণমন্ত্রী অন্নপূর্ণা দেবী পশ্চিমবঙ্গে দুর্নীতির প্রসঙ্গ টেনে এনে বলেছেন, ‘‘ওই রাজ্যে ঠিকমতো অডিট হয় না। ১৮ হাজার কোটি টাকার খরচের শংসাপত্র জমা দেয়নি রাজ্য।’’ দোলা প্রতিবাদ করেন। পরে তিনি রাজ্যের মন্ত্রী শশী পাঁজার কাছে ফোনে জানতে চান, বাস্তব চিত্রটা কী? শশী তাঁকে জানিয়েছেন, এই প্রকল্পে কোনও সমস্যাই নেই। খরচের শংসাপত্র দেওয়া আছে, কেন্দ্রের টাকাও আসছে। সূত্রের খবর, আগামিকাল রাজ্যসভায় তৃণমূলের দলনেতা ডেরেক ও’ব্রায়েনের অনুমতি নিয়ে দোলা কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে ‘অসত্য’ বলার কারণে ক্ষমা চাওয়ার দাবিতে নোটিস দিতে পারেন।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)