শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়।
খড়দহের উপনির্বাচনে যে তিনিই শাসকদলের প্রার্থী হচ্ছেন, তা ইতিমধ্যেই নিশ্চিত হয়ে গিয়েছে। তাই খড়দহের ময়দানে নেমেই পড়লেন শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। মঙ্গলবার সকালে দক্ষিণ কলকাতার ভবানীপুরের বাড়ি থেকে খড়দহে যান তিনি। প্রথমেই খড়দহ এলাকার অতি প্রাচীন শ্যামের মন্দিরে গিয়ে পুজো দেন। মন্দিরে পুজো দিয়ে বেরোতেই সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হন কৃষিমন্ত্রী। খড়দহের উপনির্বাচনে কি আপনি প্রার্থী হচ্ছেন? সংবাদমাধ্যমের এমন প্রশ্নের মুখে শোভনদেব বলেন, "দলের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু আনুষ্ঠানিক ঘোষণা না হওয়া পর্যন্ত কিছু বলতে পারি না। আমি শৃঙ্খলাপরায়ণ মানুষ।" প্রসঙ্গত, অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র প্রার্থী না হওয়ায় এবার খড়দহ কেন্দ্রে তৃণমূল নেতা কাজল সিংহকে প্রার্থী করেছিল তৃণমূল। কিন্তু ভোটের ফলাফল ঘোষণার আগেই করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় তাঁর। ফলাফলে বিজেপি প্রার্থী শীলভদ্র দত্তকে হারিয়েছিলেন কাজল। কিন্তু আগেই তাঁর প্রয়াণ ঘটায় উপনির্বাচনই ভবিতব্য ছিল খড়দহে। রাজনীতির কারবারিদের ধারণা ছিল, খড়দহ উপনির্বাচনে প্রার্থী হতে পারেন মমতা। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর জন্য ভবানীপুর আসন ছেড়ে দেওয়ার পরেই শোভনদেবের নাম উঠে আসে প্রার্থী হিসেবে। সূত্রের খবর, দলনেত্রী স্বয়ং তাঁকে প্রার্থী হওয়ার বিষয়ে আশ্বাস দিয়েছেন। তাই বুধবার থেকেই কার্যত প্রার্থী হিসেবে উপনির্বাচনের প্রচার শুরু করে দিলেন এই বর্ষীয়ান রাজনীতিক। যে অনুষ্ঠানেই গিয়েছেন তিনি, সেখানেই ভাবী বিধায়ক হিসেবেই বক্তৃতা করতে দেখা গিয়েছে শোভনদেবকে। তাঁর প্রতি খড়দহের মানুষ আস্থা রাখতে পারেন বলেই আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।
প্রয়াত কাজল জয়ী হয়েছিলেন ২৮ হাজারের বেশি ভোটে। এবার শোভনদেব কি তাঁর থেকেও বেশি ব্যবধানে জিতবেন? এমন প্রশ্নের জবাবে শোভনদেব বলেন, "তা এখানকার মানুষের উপর নির্ভর করবে। তাঁরা আমাকে দেখবেন, জানবেন। নিশ্চয়ই সিদ্ধান্ত নেবেন। এখন যদি বলি, মার্জিন বাড়াব, তা হলে ঔদ্ধত্য হয়ে যাবে।" শ্যামের মন্দিরে পুজো দিয়ে খড়দহ পুরসভার পুর প্রশাসক নীলু সরকারের উদ্যোগে আয়োজিত ‘দুয়ারে ভোজন’ নামে এক অনুষ্ঠানে যোগ দেন ভবানীপুরের প্রাক্তন বিধায়ক। সেখানে তাঁর পরিচয়পর্বে হাজির ছিলেন এলাকার সাংসদ সৌগত রায় ও পাশের কেন্দ্র পানিহাটির বিধায়ক নির্মল ঘোষ। যাবতীয় কর্মসূচি সেরে সবশেষে যান খড়দহ কেন্দ্রের তৃণমূলের জয়ী প্রার্থী প্রয়াত কাজলের বাড়িতে। দীর্ঘক্ষণ কথা বলে কাজলের পরিবারের খোঁজখবর নেন তাঁর স্ত্রীর কাছ থেকে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy