ভরদুপুরে গুলিচালনার পর কেটে গিয়েছে ২৪ ঘণ্টা। তবে গ্রেফতার তো দূর অস্ত্, দুষ্কৃতীদের চিহ্নিতই করতে পারেনি পুলিশ। এই ঘটনার এক দিন পরেও আতঙ্কিত ব্যারাকপুরের ডি বাপি বিরিয়ানি সেন্টার-এর মালিক-সহ কর্মীরা। আতঙ্কে ওই রেস্তরাঁয় দেখা নেই গ্রাহকেরও।
কী ভাবে তাঁর রেস্তরাঁয় গুলিচালনার ঘটনা ঘটল, তা ভেবে পাচ্ছেন না ডি বাপি-র কর্ণধার বাপি দাস। তাঁর দাবি, ‘‘আমরা সঙ্গে কারও শত্রুতা নেই। তবে কে এমন কাজ করল? বুদ্ধপূর্ণিমা থাকায় গত কাল দোকানে কাস্টমার ছিল না বললেই চলে। না হলে বড়সড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারত। বাপি দাসের কাছে কাস্টমারের সুরক্ষা সবার আগে। ২০০৬ থেকে ব্যবসা করছি। এই বিরিয়ানি সেন্টারটি ২০১২ সালে খুলেছি। কোনও দিন এমন ঘটনা ঘটেনি। কয়েক দিন আগে ফোনে হুমকি পাই। পরে হোয়াটসঅ্যাপে মেসেজ। তার পরেই এই ঘটনা।’’ এখনও হতভম্ব তিনি।
আরও পড়ুন:
এই রেস্তরাঁয় প্রতি দিন প্রায় ১০ হাঁড়ি বিরিয়ানি বিক্রি হয় বলে জানিয়েছেন কর্মীরা। তবে মঙ্গলবার দুপুর গড়ালেও এক হাঁড়ি শেষ হয়নি। ভয়ে সিঁটিয়ে রেস্তরাঁর রাঁধুনি মহম্মদ সাহেবও। তিনি বলেন, ‘‘বাপি’দার সঙ্গে চোদ্দো বছর ধরে রয়েছি। গত কালের ঘটনার সময় আমি রান্না করছিলাম। এখনও খুব ভয় লাগছে। আজ এক জন কাস্টমার আসেনি।’’