ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সংশোধনের (এসআইআর) পরে প্রথম নির্বাচনে বিহারে বিজেপি তথা এনডিএ বিপুল সাফল্য পেয়েছে। তবে পশ্চিমবঙ্গে এসআইআর-প্রক্রিয়াকে কেন্দ্র করে ‘আতঙ্কে মৃত্যু’ হচ্ছে বলে অভিযোগ তোলা অব্যাহত রাখল তৃণমূল কংগ্রেস। এ বার ঘটনাস্থল জলপাইগুড়ি। তৃণমূলের বিরুদ্ধে পাল্টা ফের অপপ্রচারের অভিযোগ তুলেছে বিজেপি।
জলপাইগুড়ির রাজগঞ্জের কামারভিটায় বৃহস্পতিবার রাতে বাড়ির সামনে গাছ থেকে ভুবন রায় (৫৫) নামে এক প্রৌঢ়ের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়েছে। পরিবারের দাবি, ভুবনের মেয়ে শিবানীর নামে গণনা-পত্র আসেনি। শিবানীর বক্তব্য, “বাবা, মা ও ভাইয়ের ফর্ম এলেও আমার নামে তা না-আসায় বাবা চিন্তা করছিল। তাই আত্মহত্যা করেছে।” রাজগঞ্জের তৃণমূল বিধায়ক খগেশ্বর রায় মৃতের বাড়িতে গিয়ে অভিযোগ করেছেন, “জলপাইগুড়ি-সহ রাজ্যের নানা প্রান্তে এসআইআর-আতঙ্কে আত্মঘাতী হওয়ার ঘটনা ঘটছে। ওই ব্যক্তির মেয়ের নাম কেন তালিকায় নেই, তা দেখা হচ্ছে।” গত সপ্তাহে জলপাইগুড়ি শহর লাগোয়া এলাকায় নরেন্দ্রনাথ রায় নামে এক বৃদ্ধের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়েছিল। পরিবারের দাবি ছিল, স্ত্রী-র নাম ভোটার তালিকায় না-থাকায় উদ্বেগে ছিলেন নরেন্দ্রনাথ। তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় শুক্রবার নরেন্দ্রনাথের বাড়ি গিয়ে পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন। বিজেপি সাংসদ মনোজ টিগ্গার পাল্টা অভিযোগ, “যাঁরা অন্য কারণে মারা যাচ্ছেন, তৃণমূল অপপ্রচার করে এসআইআর, সিএএ, এনআরসি বলছে। নিজেদের দুষ্কর্ম ঢাকতে সহানুভূতি আদায়ের চেষ্টা করছে।”
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)