মহিলা থানায় পড়ুয়াদের মারধরের অভিযোগ নিয়ে মামলায় কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশে মেদিনীপুরে তদন্তে গেল বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট)। বৃহস্পতিবার বেলা ১২টা নাগাদ ডিএসও-র জেলা পার্টি অফিসে পৌঁছোয় তারা। সূত্রের খবর, সেখানে ডিএসও নেতাদের বয়ান সংগ্রহ করার কথা সিটের। পড়ুয়াদের উপর অত্যাচারের অভিযোগ উঠেছিল ওসি সাথী বারিক-সহ অন্য পুলিশকর্মীদের বিরুদ্ধে। তাঁদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে সূত্রের খবর।
গত মার্চ মাসে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর গাড়ির ধাক্কায় এক পড়ুয়ার জখম হওয়ার অভিযোগ উঠেছিল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে। সেই ঘটনার প্রতিবাদে কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র ধর্মঘটের ডাক গিয়েছিল বাম ছাত্র সংগঠনগুলি। সেইমতো ধর্মঘটের দিনে মেদিনীপুরে ডিএসও-র কর্মী-সমর্থকেরা মিছিল করে বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ে পৌঁছোতেই পুলিশ তাঁদের আটকে দেয়। অভিযোগ, পরে বিক্ষোভকারীদের একটি অংশকে মেদিনীপুরের কোতোয়ালি মহিলা থানায় ধরে নিয়ে যায় পুলিশ। সেখানে তাঁদের বেধড়ক মারধর করা হয়। মানসিক নির্যাতনও চলে তাঁদের উপর।
এর বিরুদ্ধেই একটি মামলা হয়েছিল হাই কোর্টে। এক ডিএসও কর্মী মামলা করেছিলেন। তার ভিত্তিতে বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ এফআইআর দায়ের করে সিট গঠনের নির্দেশ দিয়েছিলেন রাজ্যকে। একক বেঞ্চের ওই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে রাজ্য ডিভিশন বেঞ্চে যায়। কোনও ডিভিশন বেঞ্চ কোনও স্থগিতাদেশ দেয়নি। এর পরেই একক বেঞ্চের নির্দেশমতো আইজি মুরলীধরের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের সিট গঠন করা হয়। তাঁরাই বৃহস্পতিবার মেদিনীপুরে গিয়েছেন।