খেলতে গিয়ে চোট লেগেছিল পায়ে। নার্সিংহোমে এক্স-রে হল। প্লাস্টার হল। ওষুধ দিয়ে পাঠিয়ে দেওয়া হল বাড়িতে। দেড় মাস পরে প্লাস্টার খুলতেই অসহ্য যন্ত্রণা। পরীক্ষায় জানা গেল, হাঁটুতে টিউমার আছে। সেটা দেখেননি বা দেখেও দেখেননি নার্সিংহোমের সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক!
চিকিৎসায় এই গাফিলতির দায়ে পূর্ব মেদিনীপুরের এক চিকিৎসককে ছ’লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণের নির্দেশ দিল রাজ্য ক্রেতা সুরক্ষা আদালত।
রাজ্যের ক্রেতা সুরক্ষা দফতর সূত্রের খবর, ২০১২ সালের ২২ জুন পূর্ব মেদিনীপুরের দুর্গাচকের তরুণ অর্পণ দাস খেলতে গিয়ে পড়ে গিয়ে বাঁ পায়ে আঘাত পান। ওই দিনেই তাঁকে স্থানীয় একটি নার্সিংহোমে নিয়ে যাওয়া হয়। অর্পণের বাবা দিলীপ দাস বলেন, ‘‘নার্সিংহোমে এক্স-রে এবং প্লাস্টার করে ছেড়ে দেওয়া হয়। দেড় মাস পরে প্লাস্টার খুলতেই বাঁ পায়ে শুরু হয় অসহ্য যন্ত্রণা। ওষুধ খেলে আর পায়ে গরম জল ঢাললে সব ঠিক হয়ে যাবে বলে জানান ডাক্তারবাবু।’’