নতুন কর ব্যবস্থা চালুর পরে জিএসটি দিতে চেয়ে আবেদন করেছেন রাজ্যের এমন ১৬ হাজার ব্যবসায়ী, যাঁরা আগে ভ্যাট দিতেন না। এই সংখ্যা ৫০ হাজার ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে প্রাথমিক ভাবে ইঙ্গিত মিলেছে। এ ক্ষেত্রে দেশের প্রথম ৪টি রাজ্যের মধ্যে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ। যে ভাবে তাড়াহুড়োয় জিএসটি চালু হল, তাতে ঘোর আপত্তি রয়েছে রাজ্য সরকারের। তবে এই প্রবণতায় এখন বাড়তি আয়েরই ইঙ্গিত দেখছে অর্থ দফতর।
নবান্ন সূত্রের খবর, এ রাজ্যে আড়াই লক্ষ ব্যবসায়ী ভ্যাট দিতেন। তাঁদের প্রায় সকলেই জিএসটি নেটওয়ার্কে নিজেদের রেজিস্ট্রেশন করেছেন। নতুন ব্যবসায়ীরা জিএসটি দিতে কতটা আগ্রহী হবেন, এ নিয়ে কর-কর্তাদের আশঙ্কা ছিল। কারণ, রাজ্যের আদায় তখনই বাড়বে, যখন আরও বেশি ব্যবসায়ী কর দিতে এগিয়ে আসবেন।
সেই পরীক্ষায় প্রথম দফায় অনেকটাই এগিয়ে রাজ্য। নতুন ব্যবসায়ীদের জন্য গত ২৫ জুন থেকে রেজিস্ট্রেশন শুরু হয়েছিল। তাতে এখনও পর্যন্ত সারা দেশে দেড় লাখের কিছু বেশি ব্যবসায়ী নাম লিখিয়েছেন। এর মধ্যে ১৬ হাজারই এ রাজ্যের। ১০ হাজারের উপর নতুন রেজিষ্ট্রেশন হয়েছে মহারাষ্ট্র, গুজরাত এবং অন্ধ্রপ্রদেশ থেকে।
নবান্নের এক শীর্ষ কর্তা বলেন, ‘‘প্রথম সপ্তাহেই যদি এত নতুন ব্যবসায়ী জিএসটিতে নাম লেখান, তা হলে আগামী দু’মাসে তা ৫০ হাজার ছাড়াতে পারে। এখন যত ব্যবসায়ী কর দেন, নতুন ব্যবস্থায় আরও ২৫% করদাতা যুক্ত হতে পারেন। তাতে রাজ্যের আয় বাড়বে।’’
কিন্তু বাংলায় এত নতুন করদাতা নাম লেখাচ্ছেন কেন?
অর্থ কর্তারা জানাচ্ছেন— বস্ত্র, বিড়ি প্রভৃতি ব্যবসায় আগে ভ্যাট ছিল না। এখন জিএসটি চাপানোর ফলে এই দু’টি ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত সকলকেই কর দিতে হবে। ফলে তাঁরা নতুন করে রেজিষ্ট্রেশন করছেন। এ ছাড়া জিএসটি চালু হলে স্টকিস্ট বা ডিলাররা চাইবেন না খুচরো ব্যবসায়ীরা ‘কাঁচা রসিদে’ কারবার চালিয়ে যান।
কারণ, নতুন নিয়মে ডিলারদের খুচরো ব্যবসায়ীদের বিক্রি করা পণ্যের হিসাবও রিটার্নে জমা দিতে হবে। ‘কাঁচা’ থেকে ‘পাকা’ কারবারির সংখ্যা যে নতুন কর ব্যবস্থায় বাড়বে, তারই প্রতিফলন দেখা যাচ্ছে এখন।
অর্থ দফতরের এক কর্তার কথায়, ‘‘এত কাল অনেকেই ভ্যাট এড়িয়ে গিয়েছেন। এখন কিন্তু জিএসটি এড়িয়ে যাওয়া মুশকিল। তাই যে সব ব্যবসায়ী ভ্যাট দিতেন না, তাঁরাও এখন নাম লেখাচ্ছেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy