নারদ কাণ্ডে হাইকোর্ট সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেওয়ায় তৃণমূল নেতাদের একাংশ আতঙ্কিত ঠিকই। কিন্তু সেটাই যে দলের সামগ্রিক ‘মুড’ নয় শনিবার যেন তা জানান দিতে চাইল তৃণমূল ভবন।
এ দিন বিকেলে তপসিয়ায় দলের সদর দফতরে গিয়েছিলেন যুব তৃণমূল সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি সেখানে পৌঁছনোর আগে থেকেই দলের অজস্র কর্মী সেখানে অপেক্ষা করছিলেন। কারও হাতে পুষ্পস্তবক, গোলাপের পাপড়িগুচ্ছ, কেউ দাঁড়িয়ে সুসজ্জিত ফলের পাত্র নিয়ে, কারও হাতে মিষ্টি! সকলেই এসেছেন অভিষেককে শুভেচ্ছা জানাতে। অভিষেক ঢুকতেই গোলাপের পাপড়ি বৃষ্টি করেন কর্মীরা।
অভিষেক অবশ্য সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেননি। কিন্তু সার্বিক ভাবে তৃণমূল ভবনের ছবিটা দেখে দলের একাধিক নেতা দাবি করেন, নারদে অভিযুক্তদের চিন্তায় থাকাটা স্বাভাবিক। তবে তাতে দলের নিচু তলায় এবং জনমানসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাবমূর্তিতে তার প্রভাব পড়েনি। বরং বিজেপির রাজনীতির মোকাবিলায় দলের জনভিত্তি ধরে রাখাকে পাখির চোখের মতো দেখছেন মমতা। বেসরকারি হাসপাতালের বিরুদ্ধে মুখ্যমন্ত্রীর সাম্প্রতিক পদক্ষেপ, অ্যাপোলো হাসপাতালের গাফিলতিতে মৃত সঞ্জয় রায়ের স্ত্রী রুবিকে চাকরি দেওয়া ইত্যাদি সেই কৌশলেরই অঙ্গ।
এ দিন রুবিও অভিষেককে কৃতজ্ঞতা জানাতে তৃণমূল ভবনে যান। তিনি কি রাজনীতিতে আসবেন? এ প্রশ্নের জবাবে রুবি বলেন, ‘‘মানুষ হিসাবে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করলাম। ওঁরা অনেক বড় মাপের মানুষ। আমাকে বিরাট সাহায্য করেছেন। মানুষই আগে। রাজনীতিটা পরে ভাবা যাবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy