প্রতীকী ছবি।
সোশ্যাল মিডিয়াকে হাতিয়ার করে গ্রামের স্কুল পড়ুয়া ছাত্রীদের নিশানা করছে আর্ন্তজাতিক নারী পাচার চক্র। সাম্প্রতিক একটি ঘটনার তদন্তে নেমে এই কৌশল নজরে এসেছে সিআইডি-র। উত্তরপ্রদেশ ও বিহারের কয়েকটি দলকে শনাক্তও করা হয়েছে।
বীরভূমের শান্তিনিকেতনের দুই নাবালিকাকে সুদূর পশ্চিম ভারতের সিলভাসা শহরের আর্ন্তজাতিক নারী পাচার চক্রের ডেরা থেকে মঙ্গলবার উদ্ধার করে সিআইডি। তদন্তে নেমে সিআইডি জেনেছে, দুই স্কুল পড়ুয়াকে ফেসবুক ও হোয়াট্সঅ্যাপ-এর জালে জড়িয়ে দাদরা ও নগর হাভেলির এই রাজধানী শহরে নিয়ে গিয়েছিল পাচার চক্রের আড়কাঠি। সিআইডির দাবি, দুবাইয়ের নারী পাচার চক্রের বহু এজেন্ট রয়েছে সিলভাসায়। তারা আরবে ১০ থেকে ১৫ লক্ষ টাকায় বিক্রি করে নাবালিকাদের।
সিআইডি সূত্রে খবর, বীরভূমের স্কুল পড়ুয়া দুই তুতো বোনের সঙ্গে ফেসবুক ও হোয়াটসঅ্যাপে আলাপ শুরু করে সানি সাউ নামে উত্তরপ্রদেশের জোয়ানপুরের এক যুবক। বিত্তবান ব্যবসায়ী সেজে নিজের ছবি পাঠাতে থাকে সানি। বিদেশ যাওয়ার স্বপ্নও দেখায়। ভীম বে়রা নামে এক যুবককেও বিদেশে চাকরির টোপ দেয় সানি। দুই বোনের এক জনের সঙ্গে প্রতিবেশী ভীমের প্রেমের সর্ম্পক ছিল। দুই বোনকে বীরভূম থেকে মুম্বই পৌঁছনোর দায়িত্ব সানি ভীমকেই দিয়েছিল।
তদন্তকারীরা জেনেছে, মুম্বই থেকে দুই বোন ও ভীমকে সিলভাসার একটি পাঁচতারা হোটেলে নিয়ে যায় সানি। সেখানে দুই নাবালিকার মগজ ধোলাই করতে থাকে সানি। বোঝানো হয়— যৌন পেশায় বিলাসবহুল জীবন কাটাতে পারবে তারা। উদ্ধারের পরে দুই কিশোরীকে পরিজনদের হাতে তুলে দেওয়া হয়। সানি ও ভীমকে গ্রেফতার করে আজ, শুক্রবার আলিপুর আদালতে পেশ করা হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy