—প্রতীকী ছবি।
কেন্দ্রের নির্দেশে বন্ধ হয়ে গেল একশো দিনের প্রকল্পে মাটি কাটার কাজ। এখন থেকে মাটি কেটে রাস্তা তৈরি বা জমি উঁচু করার কাজ করাতে পারবে না পঞ্চায়েতগুলি।
প্রকল্পের রাজ্য কমিশনার দিব্যেন্দু সরকার বলেন, ‘‘একশো দিনের কাজে বিভিন্ন প্রকল্প আছে। যেহেতু আর্থিক বছর শেষ হয়ে আসছে তাই কেন্দ্র চাইছে, সম্পদ সৃষ্টি হতে পারে এমন প্রকল্পগুলিতে কাজ হোক।’’
পঞ্চায়েতমন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘আসলে কেন্দ্রের হাতে টাকা নেই। টাকা না দেওয়ার অজুহাত তৈরির জন্যই মাঝে মাঝে কিছু কাজ ওরা বন্ধ করে দেয়। অন্য কারণ নেই।’’
একশো দিনের প্রকল্পে প্রতিদিন কী কী কাজ হচ্ছে, কতজন জবকার্ডধারী কাজ করছেন তার বিস্তারিত বিবরণ অ্যাপ-এ আপলোড করতে হয় পঞ্চায়েতগুলিকে। তার ভিত্তিতে মজুরির টাকা আসে। কেন্দ্রীয় ভাবেও সরকার এই অ্যাপ খুলে সব কিছুর উপরে নজরদারি চালাতে পারে। কিন্তু গত শুক্রবার থেকে অ্যাপ-এ মাটি কাটা সংক্রান্ত বিভাগটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ফলে এই কাজের কোনও বিবরণ আর পঞ্চায়েতগুলি আপলোড করতে পারছে না।
এই কাজ বন্ধ হওয়ায় শোরগোল পড়েছে পঞ্চায়েতগুলিতে। কারণ, একশো দিনের কাজের প্রকল্পগুলির মধ্যে প্রধান হল এই মাটি কাটার কাজ। এই কাজে একলপ্তে অনেক জবকার্ডধারী নিয়োগ করা যায়। বর্ষায় এই কাজ করা যায় না। শীতকাল হল মাটি কাটার উপযুক্ত সময়। এই সময়ে কাজ বন্ধ করা হলে অনেকেই বিপাকে পড়বেন। শুধু তাই নয়, এখন বহু পঞ্চায়েতে মাটি কাটার কাজ চলছে। আচমকা অ্যাপে আপলোড বন্ধ করে দেওয়ায় ইতিমধ্যে যাঁরা কাজ করে ফেলেছেন, তাঁদের মজুরি পেতেও সমস্যা হবে বলে আশঙ্কা।
হাওড়ার আমতা-১ ব্লকের রসপুর পঞ্চায়েতে মাটি কাটার ১২টি প্রকল্পে কাজ করছেন ১২০০ জবকার্ডধারী। উপপ্রধান জয়ন্ত পোল্যে বলেন, ‘‘কাজ মাঝপথে বন্ধ হওয়ায় জবকার্ডধারীরা এর মধ্যে যে কাজ করেছেন, তার মজুরি সংক্রান্ত তথ্যও আপলোড করতে পারছি না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy