Advertisement
১৬ মে ২০২৪

মুকুল রায়ের উপস্থিতিতে যোগ বিজেপিতে

এ দিকে শুক্রবার রাতেই রাজনগর ব্লক এবং দুবরাজপুর ব্লক থেকে বেশ কিছু সক্রিয় তৃণমূল নেতাকর্মী বিজেপিতে যোগদান করেন বলে বিজেপির দাবি। তাঁদের মধ্যে রাজনগর ব্লক থেকে তৃণমূলের জেলা পরিষদ সদস্য অনুপ গড়াই যেমন আছেন, তেমনি রয়েছেন রাজনগর পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি গৌতম সাহা।

পুজো: তারাপীঠে। নিজস্ব চিত্র

পুজো: তারাপীঠে। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
তারাপীঠ শেষ আপডেট: ২৪ ডিসেম্বর ২০১৭ ০১:২৫
Share: Save:

এর আগে তারাপীঠে পুজো দিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে বাংলায় শান্তি ফিরে আসার কামনা করেছিলেন তিনি। বিজেপিতে যোগদানের পরে শনিবার তারাপীঠে সেই মুকুল ‘দমবন্ধ পরিবেশ থেকে বাংলার মুক্তি’ চাইলেন। দাবি করলেন, ২০১৮–২০ সালের মধ্যে বাংলায় পরিবর্তন হবেই। মুকুলকে ঘিরে তারাপীঠে সাধারণ মানুষের উচ্ছ্বাস ছিল।

বিজেপি সূত্রের খবর, শুক্রবার রাতে মুকুল রাজনগর ব্লকের তাঁতিপাড়া ও ঘাটগোপালপুর— এই দুটি গ্রামে বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে মিলিত হন। শনিবার তার রেশ টেনে মুকুল বলেন, ‘‘আমি উদ্বেলিত। আমি নিশ্চিত বীরভূমের মানুষ পরিবর্তনের পরিবর্তন করতে প্রস্তুত।’’ এ দিকে শুক্রবার রাতেই রাজনগর ব্লক এবং দুবরাজপুর ব্লক থেকে বেশ কিছু সক্রিয় তৃণমূল নেতাকর্মী বিজেপিতে যোগদান করেন বলে বিজেপির দাবি। তাঁদের মধ্যে রাজনগর ব্লক থেকে তৃণমূলের জেলা পরিষদ সদস্য অনুপ গড়াই যেমন আছেন, তেমনি রয়েছেন রাজনগর পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি গৌতম সাহা। অনুপকে অবশ্য দলবিরোধী কাজের জন্য বিধানসভা নির্বাচনের পরে দল থেকে বহিষ্কার করেন তৃণমূল নেতৃত্ব। জেলা পরিষদের সদস্য পদ অবশ্য আইন অনুযায়ী থেকে গিয়েছিল। অন্য দিকে, গৌতম সাহাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়নি।

একই কারণে শুক্রবার দুবরাজপুর ব্লকের সক্রিয় তৃণমূল কর্মী মোতাহার হোসেনও বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন বলে খবর। অনুপ গড়াই, গৌতম সাহা, মোতাহার হোসেনদের বক্তব্য, ‘‘তৃণমূলে ছিলাম। কিন্তু, দলের মধ্যে কোনও কাজে আমাদের প্রাধান্য দেওয়া হতো না। তার জন্যেই দল ছাড়তে বাধ্য হয়েছি।’’ এ দিকে তৃণমূলের রাজনগর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সুকুমার সাধু জানিয়েছেন, অনুপ সম্বন্ধে কোনও মন্তব্য করবেন না। কারণ, উনি অনেক আগেই বহিষ্কৃত। গৌতমবাবুও নানা অনৈতিক কাজে যুক্ত বলে দাবি সুকুমার সাধুর।

এ দিন তারাপীঠে পুজো দেওয়ার পরে একটি লজে মুকুলের সঙ্গে দেখা করেন লাভপুর, আমোদপুর, মুরারই এলাকার এক সময়ের মুকুল ঘনিষ্ঠ তৃণমূল নেতারা। মুকুল রায় তাঁদের নাম ধরে ধরে ডেকে উপস্থিত বিজেপি নেতাদের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন। তারাপীঠের লজে বিজেপির প্রাক্তন জেলা সভাপতি এবং বর্তমানে জেলাতে কোনও দায়িত্বে না থাকা দুধকুমার মণ্ডলও মুকুলের সঙ্গে দেখা করেন। জেলা তৃণমূলের সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে মুকুল বলেন, ‘‘অনুব্রত ইজ নো মাচ অ্যাট অল (অনুব্রত কোনও বিষয় নয়)। জবাব চাইতে হলে আমার কাউন্সিলরের কাছে জবাব চান।’’ পুরোহিত সম্মেলন নিয়েও কটাক্ষ করেন মুকুল।

মুকুলের সঙ্গে এ দিন ছিলেন বিজেপির বীরভূম জেলা পর্যবেক্ষক সমীরণ সাহা। তিনি বলেন, ‘‘জেলার নানা জায়গায় বিজেপির সভা করতে দেওয়া হচ্ছে না। এরই প্রতিবাদে আজ, রবিবার সিউড়িতে জেলাশাসক অফিসের সামনে বিজেপি আইন অমান্য আন্দোলন সংঘটিত করবে। সেখানে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ সহ রাজ্য নেতৃত্ব উপস্থিত থাকবেন।’’ শনিবার সন্ধ্যায় পৌষমেলার বিজেপি-র স্টলে আসেন মুকুল রায়। সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘‘বীরভূমে বিজেপির উত্থান শুরু হয়েছে। ২০১৮ এর পঞ্চায়েত নির্বাচন থেকেই তার মহড়া শুরু হবে। আর ২০১৯ এ বীরভূমে জয়ের মধ্যে দিয়েই বিজেপির বিজয়রথ চলতে শুরু করবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Mukul Roy BJP TMC
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE