দিন গুনতে গুনতে তিন মাস পেরিয়েছে। অবশেষে নিজের দেশের কারও সঙ্গে দেখা হল বাংলাদেশে আটকে থাকা বীরভূমের অন্তঃসত্ত্বা সোনালি বিবির। আটকে থাকা অন্য পরিযায়ী শ্রমিকদেরও।
রবিবার চাঁপাইনবাবগঞ্জ চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোনালিদের সঙ্গে সাক্ষাৎ হয় রাজ্যের পরিযায়ী শ্রমিক কল্যাণ পর্ষদের চেয়ারম্যান সামিরুল ইসলামের প্রতিনিধি মফিজুল শেখের। বাংলাদেশ থেকে মফিজুল ফোনে বলেন, ‘‘গর্ভস্থ সন্তানকে নিয়ে কিছুটা উদ্বেগ থাকলেও, বাড়ি ফেরার আশা জোরালো হচ্ছে জেনে স্বস্তিপেয়েছেন সোনালিরা।’’
শুক্রবার কলকাতা হাই কোর্ট নির্দেশ দেয়, বীরভূমের অন্তঃসত্ত্বা পরিযায়ী শ্রমিক সোনালি বিবি-সহ বাংলাদেশে ‘পুশ ব্যাক’ করা ছ’জনকে চার সপ্তাহের মধ্যে ভারতে ফিরিয়ে আনতে হবে। বাংলাদেশি সন্দেহে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের অধীনে থাকা দিল্লি পুলিশের ওই ছ’জনকে আটক করা ও বিতাড়নের সিদ্ধান্তও খারিজ করে হাই কোর্ট। তার পরেই সোনালিদের সাহায্য করতে শনিবার বাংলাদেশে পৌঁছে যান তাঁদের বাড়ির এলাকারই যুবক মফিজুল শেখ। এ দিন চাঁপাইনবাবগঞ্জ চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তাঁর সঙ্গে দেখা হয় সোনালিদের।
মফিজুল জানান, বাইরে থেকে দেখে সোনালি ঠিক রয়েছেন বলেই মনে হয়েছে। তবে সোনালি তাঁকে জানিয়েছেন, সেখানকার সংশোধনাগারে চিকিৎসক নিয়মিত পরীক্ষানিরীক্ষা করলেও, তাঁর পরামর্শ মেনে আলট্রাসোনোগ্রাফি (ইউএসজি) করানো যায়নি। মফিজুল বলেন, ‘‘গর্ভস্থ সন্তান কেমন রয়েছে, সে নিয়ে কিছুটা উদ্বেগ রয়েছে সোনালির। তবে যে ভাবে সব এগোচ্ছে, তাতে খুব তাড়াতাড়ি বাড়ি ফিরতে পারবেন বলে আশা করছেন সকলেই।’’
জুনে দিল্লিতে কর্মরত পাইকর থানা এলাকার বাসিন্দা সোনালি ও সুইটি বিবি-সহ ছ’জনকে অসম সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে ‘পুশ ব্যাক’ করা হয় বলে অভিযোগ। ২০ অগস্ট চাঁপাইনবাবগঞ্জের সদর মডেল থানার পুলিশ তাঁদের অনুপ্রবেশকারী হিসেবে গ্রেফতার করে। এখন তাঁরা চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা সংশোধনাগারে রয়েছেন। সে দেশের তরফেও সোনালিদের ভারতে পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে বলে খবর।
বাংলাদেশের এক পুলিশকর্তা শুক্রবারই জানিয়েছিলেন, সদ্য সে দেশের আদালত নির্দেশ দিয়েছে,
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)