দুষ্কৃতী-তাণ্ডবের প্রতিবাদ করে খুন হয়ে গিয়েছিলেন উত্তর ২৪ পরগনার বামনগাছির প্রতিবাদী কলেজ-ছাত্র সৌরভ চৌধুরী। সে ঘটনার এখনও বছর ঘোরেনি। মঙ্গলবার রাতে এলাকায় শাসক দলের নেতা বলে পরিচিত এক পঞ্চায়েত সদস্যের হাতে ‘আক্রান্তের’ পাশে দাঁড়াতে গিয়ে মার খেলেন সৌরভের দাদা সন্দীপ ও বাবা সরোজ চৌধুরীও। মারধর করার অভিযোগে তুষার মজুমদার ওরফে বিশু নামে ছোট জাগুলিয়া পঞ্চায়েতের ওই সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
সৌরভ-হত্যায় প্রধান অভিযুক্ত শ্যামলকান্তি কর্মকারের পৃষ্ঠপোষক বলে এলাকায় পরিচিত বিশু ভোটে জেতেন তৃণমূলের প্রতীকে। এলাকাবাসীর একটা বড় অংশের দাবি, তৃণমূলের বিজয়-মিছিলে হামলার অভিযোগেই ঝামেলা জোড়েন বিশু। যদিও তৃণমূলের উত্তর ২৪ পরগনা জেলা সভাপতি তথা মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বুধবার জানিয়েছেন, তদন্ত করে নানা রকম অভিযোগের সত্যতা পেয়ে বিশুকে অনেক দিন আগেই দল বহিষ্কার করেছে। এ দিন বারাসত আদালতে তোলা হলে বিচারক ধৃতকে ১৪ দিন জেল-হাজতে রাখার নির্দেশ দেন। সরোজবাবুদের বিরুদ্ধে থানায় মারধরের পাল্টা অভিযোগ করেছেন বিশুও।
স্থানীয় সূত্রের খবর, মঙ্গলবার রাত ৯টা নাগাদ বামনগাছির কুলবেড়িয়ার একটি ক্লাবে বসে আইপিএলের খেলা দেখছিলেন স্থানীয় কিছু বাসিন্দা। সেই সময় কাশিমপুর পঞ্চায়েতে তৃণমূলের টিকিটে জেতা নিখিল দাসের নেতৃত্বে শাসক দলের একটি বিজয়-মিছিল সেখান দিয়ে যাচ্ছিল।