বাবাকে কটাক্ষ শোভনপুত্রের। —ফাইল চিত্র।
সমস্ত সম্পত্তি বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামে করে দেওয়ার পর ‘বান্ধবী’র নিরাপত্তার জন্য সুপারিশ করছেন তিনি। তা নিয়ে এ বার কলকাতার প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়কে তীব্র কটাক্ষ করলেন তাঁর ছেলে সপ্তর্ষি চট্টোপাধ্যায় ওরফে ঋষি (শোভনপুত্রের ডাকনাম)। সম্পত্তির লেনদেন সংক্রান্ত গোটা ঘটনাকেই ‘নাটক’ বলে উল্লেখ করেছেন তিনি।
শুক্রবারই কলকাতার পুলিশ কমিশনার সৌমেন মিত্রকে চিঠি লিখে বৈশাখীর জন্য নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে বলেন শোভন। অভিযোগ করেন, সমস্ত সম্পত্তি বৈশাখীর নামে করে দিয়েছেন বলে তাঁকে খুনের পরিকল্পনা করছেন স্ত্রী রত্না চট্টোপাধ্যায়। নারদ মামলায় গ্রেফতার হওয়ার পর তিনি যখন এসএসকেএম-এ, সেইসময় রত্না হামলা করতে লোকও পাঠিয়েছিলেন বলে অভিযোগ করেন শোভন।
সেই চিঠি সামনে আসার পরই বাবার বিরুদ্ধে মুখ খোলেন শোভনপুত্র ঋষি। তিনি বলেন, ‘‘বৈশাখীর হাতে নাকি পাওয়ার অব অ্যাটর্নি! বৈশাখী নাকি তাঁর সব সম্পত্তির অধিকারিণী! শোভেন চ্যাটার্জি তো নিজেকে আইনজীবী বলেন! ডিগ্রি দেখিয়ে বেড়ান। বলুন এক বার সংবিধান খুলে চোখ ঝালিয়ে নিতে। বলে দিলেন আর ভাবলেন, বাংলার ৭ কোটি মানুষ ওঁর এই ড্রামা বিশ্বাস করে নেবেন। এটা হতে পারে না।’’
বাবা হিসেবে শোভনের দায়িত্বজ্ঞান নিয়ে এর আগে রত্না এবং তাঁর পরিবারের তরফে প্রশ্ন তোলা হয়েছিল। এ বার জনপ্রতিনিধি হিসেবে শোভনের দায়িত্বজ্ঞান নিয়ে প্রশ্ন তুললেন ঋষি। তাঁর বক্তব্য, ‘‘আমি একটা কথাই জানি, জনপ্রতিনিধি হিসেবে মানুষের আশা-আকাঙ্কা রাখেননি শোভন চ্যাটার্জি। উনি একজন স্বার্থপর মানুষ। শুধু নিজের কথা ভাবেন। নিজের প্রেমজীবন নিয়েই ব্যস্ত।’’
ভোটের আগেও বাবাকে নিয়ে মুখ খুলেছিলেন ঋষি। বাড়িতে না আসুন, বৈশাখীর সঙ্গেই থাকুন, অন্তত রাজনীতিটা ঠিক করে করুন বলে সেইসময় বাবার উদ্দেশে বার্তা দিয়েছিলেন তিনি। নারদ মামলায় গ্রেফতার হওয়ার সময়ও প্রেসিডেন্সি জেলে যাওয়ার পথে শোভনের সঙ্গে ছিলেন ঋষি। কিন্তু এসএসকেএম-এ বাবাকে দেখতে গেলে কেবিন থেকে তাঁকে বার করে দেওয়া হয়। জানা যায়, সেইসময় বৈশাখীও কেবিনে ছিলেন। ঋষি ঢুকলে ঝামেলা শুরু হয়, তাই ছেলেকে বেরিয়ে যেতে বলেন শোভন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy