প্রিয়রঞ্জন সিংহের উপর হস্টেলের ৯ জন ছাত্র র্যাগিং করতেন বলে পুলিশে অভিযোগ করেছেন তাঁর দাদা। প্রতীকী ছবি।
বরাহনগরের একটি হাসপাতালের হস্টেলে অত্যধিক মাত্রায় র্যাগিংয়ের জেরেই আত্মহত্যা করেছেন ডাক্তারির ছাত্র। এমনই দাবি করলেন মৃতের দাদা। এই অভিযোগে বরাহনগর থানায় ৯ জন ছাত্রের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেছেন তিনি। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা রুজু করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ব্যারাকপুর কমিশনারেট।
পুলিশ সূত্রে খবর, বরাহনগরের ওই হাসপাতালে বিশেষ ভাবে সক্ষমদের হস্টেলে মৃত ছাত্র প্রিয়রঞ্জন সিংহের দাদা প্রবীণের দাবি, অত্যধিক র্যাগিংয়ের জন্য আত্মঘাতী হয়েছেন তাঁর ভাই। ২২-২৩ বছরের ওই ছাত্রের উপর হস্টেলের ৯ জন ছাত্র র্যাগিং করতেন বলে পুলিশে অভিযোগ করেছেন তিনি। এর আগেও প্রিয়রঞ্জনের উপরে তাঁরা মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন চালিয়েছিলেন বলে অভিযোগ প্রবীণের। এর জেরে মানসিক অবসাদে বিপর্যস্ত হয়েই তাঁদের পরিবারের ছেলে আত্মহত্যা করেছে বলে থানায় জানিয়েছেন প্রবীণ।
এই অভিযোগের তদন্তে নেমেছে ব্যারাকপুর কমিশনারেটের পুলিশ। ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের পুলিশ কমিশনার অলোক রাজোরিয়া বলেন, ‘‘আমরা অভিযোগ পেয়েছি। এ নিয়ে মামলা রুজু হয়েছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গিয়ে আমাদের আধিকারিকেরা তদন্ত করেছেন। অনেকের সঙ্গে কথাও বলেছেন। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’’
প্রসঙ্গত, সোমবার মাঝরাত থেকে বরাহনগরের ওই হাসপাতালে বিশেষ ভাবে সক্ষমদের হস্টেলে বিক্ষোভে বসেছেন পড়ুয়ারা। তাঁদের দাবি, প্রিয়র়ঞ্জন আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। তাঁর রুমমেট ঘরের জানলা দিয়ে প্রিয়রঞ্জনকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখেন বলে দাবি। এর পরই হস্টেলের অন্য ছাত্রদের ডাকেন তিনি। পরে প্রিয়রঞ্জনকে উদ্ধার করা হয়।
বিক্ষোভকারীদের দাবি, প্রিয়রঞ্জনকে উদ্ধারের পর তাঁর দেহে প্রাণ ছিল। তবে শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে নিয়ে সাগর দত্ত হাসপাতালের উদ্দেশে রওনা দেন তাঁরা। কিন্তু মাঝপথে মারা যান প্রিয়রঞ্জন। বরাহনগরের হাসপাতালের পরিষেবা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তাঁরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy