E-Paper

মুখ্যমন্ত্রী কী বলেন, সেই দিকে তাকিয়ে নেতাদের আত্মীয়রাও

চাকরিহারাদের জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আজ, সোমবার নেতাজি ইনডোর স্টেডিয়ামে সভা ডেকেছেন। কী আশ্বাস দেন তিনি, সে দিকে তাকিয়ে সবাই।

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ০৭ এপ্রিল ২০২৫ ০৮:৩২

গ্রাফিক: আনন্দবাজার ডট কম।

রাজ্য জুড়ে চাকরিহারা প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক-শিক্ষাকর্মীর একাংশ কোনও না কোনও নেতার আত্মীয়। কেউ আবার সরাসরি রাজনৈতিক দলের নেতা বা কর্মী। বেশির ভাগই শাসক দলের। বর্তমান পরিস্থিতিতে তাঁদের সংখ্যাগরিষ্ঠ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপরে ভরসার কথা জানাচ্ছেন। তবে বাকিরা বিভ্রান্ত।

চাকরিহারাদের জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আজ, সোমবার নেতাজি ইনডোর স্টেডিয়ামে সভা ডেকেছেন। কী আশ্বাস দেন তিনি, সে দিকে তাকিয়ে সবাই। চাকরিহারাদের মধ্যে আছেন ঝাড়গ্রাম জেলা যুব তৃণমূল সভাপতি আর্য ঘোষের স্ত্রী মুক্তা। বেলিয়াবেড়ার খাড়বান্ধি এসসি উচ্চ মাধ্যমিক স্কুলে রাষ্ট্রবিজ্ঞানের শিক্ষিকা ছিলেন তিনি। মুক্তা প্রতিক্রিয়া দেননি। তবে আর্য শনিবার রাতে সমাজমাধ্যমের পোস্টে মুখ্যমন্ত্রীর প্রতি ভরসা রাখার আহ্বান জানান। আর্যের দাবি, “মুক্তা কলেজের সেরা (টপার) ছাত্রী ছিল। বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতকোত্তরে ও বিএড-এ ভাল ফল করেছিল। যোগ্যতার ভিত্তিতে চাকরি পেয়েছিল।”

পশ্চিম মেদিনীপুরের সবংয়ের মোহাড় ব্রহ্মময়ী হাই স্কুলের শিক্ষক অজয়কুমার মাজিরও চাকরি গিয়েছে। তিনি পাশের ব্লক পিংলার জলচকের তৃণমূল অঞ্চল সভাপতি। তিনি আজ সভায় যাবেন বলে জানিয়েছেন। স্বামীর চাকরি খোয়ানোর কথা মানলেও এ নিয়ে মন্তব্য করতে চাননি তৃণমূল পরিচালিত কাঁথি-৩ পঞ্চায়েত সমিতির প্রাক্তন সভাপতি তথা জেলা পরিষদ সদস্য মিতারানি সাহু।

কোচবিহারের অঞ্চল স্তরের এক তৃণমূল নেতার আত্মীয় শিক্ষাকর্মী ছিলেন। তাঁরও চাকরি গিয়েছে। ওই শিক্ষাকর্মী নিজেও তৃণমূল কর্মী। তিনি বলেন, “এখনও দিদির (মমতা) উপরে ভরসা রাখছি।” কথা বলার অবস্থায় নেই চাকরি হারানো ক্যানিংয়ের সক্রিয় তৃণমূল কর্মী নিমাই মণ্ডল। তাঁর স্ত্রী সুভাষিণী বলেন, “ছোট সন্তান, বয়স্ক বাবা-মা রয়েছেন। জানি না কী ভাবে সংসার চলবে!”

চাকরিহারাদের মধ্যে রয়েছেন নদিয়ার তেহট্টের তৃণমূল বিধায়ক তাপস সাহার ভাইঝি ব্রততী দেবনাথ। তাঁর দাবি, “কাকার সঙ্গে চাকরি নিয়ে আমার কখনও কথা হয়নি। আমি ওঁর মাধ্যমে চাকরিতেও ঢুকিনি। কাউকে সুপারিশ বা টাকাও দিইনি। কাকা বিধায়ক হলেও তাঁর পরিচয় কোথাও দিইনি। অথচ, এখন এসব কথা শুনতে হচ্ছে। আমাদের মানসিক অবস্থা কেউ বুঝতে চাইছেন না।”

চাকরি হারিয়েছেন শান্তিপুরের এক বিজেপি নেতার স্ত্রী-ও। তাঁর দাবি, “রাজনীতির সঙ্গে যোগ নেই। এসএসসি পাশ করে চাকরি পেয়েছিলাম। আরও একাধিক পরীক্ষাতেও পাশ করেছি। ফের কেন পরীক্ষা দিতে হবে, বুঝতে পারছি না!”

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Mamata Banerjee Bengal SSC Recruitment Case

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy