E-Paper

ফের রদবদল-চর্চা তৃণমূলের অন্দরে

গত একুশে জুলাই, ধর্মতলার সভামঞ্চ থেকে এই রদবদলের পরিকল্পনা ঘোষণা করেছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। লোকসভা ভোটের ফলের ভিত্তিতেই সাংগঠনিক নেতৃত্বে নতুন মুখ আনতে কম-বেশি ১৫টি জেলাকে বেছে নিয়েছিলেন তিনি।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৩ মে ২০২৫ ০৭:২২

— প্রতীকী চিত্র।

এক বছরের পুরনো প্রস্তাব কি পুরোপুরি ‘তামাদি’ হল! দলের অন্দরে এই চর্চার মধ্যেই সাংগঠনিক রদবদল নিয়ে ফের নাড়াচাড়া শুরু করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। দলীয় সূত্রে খবর, চলতি সপ্তাহের মাঝামাঝি সময়েই জেলা সভাপতি বদলের কাজ শুরু হতে পারে। অন্তত পাঁচ বার পিছিয়ে যাওয়া এই রদবদল প্রক্রিয়ার দ্বিতীয় ও তৃতীয় দফায় ব্লক স্তরে পরিবর্তনের কথা রয়েছে। সাংগঠনিক জেলার সভাপতিদের সঙ্গে নিয়েই বদলের কথা ভেবেছেন দলীয় নেতৃত্ব।

গত একুশে জুলাই, ধর্মতলার সভামঞ্চ থেকে এই রদবদলের পরিকল্পনা ঘোষণা করেছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। লোকসভা ভোটের ফলের ভিত্তিতেই সাংগঠনিক নেতৃত্বে নতুন মুখ আনতে কম-বেশি ১৫টি জেলাকে বেছে নিয়েছিলেন তিনি। শুধু দলই নয়, আগামী বছরের বিধানসভা ভোটের কথা মাথায় রেখে কয়েকটি শাখা সংগঠনের রাজ্য নেতৃত্বেও নতুন মুখ আনার ভাবনা রয়েছে তৃণমূলের।

কিন্তু আরও একটি একুশে জুলাইয়ের কর্মসূচি এসে গেলেও সেই প্রক্রিয়া এক ইঞ্চিও এগোয়নি তৃণমূলে! প্রাথমিক ভাবে রদবদলের সিদ্ধান্তে নীতিগত বিরোধ না-থাকলেও শীর্ষ স্তরে পদ্ধতি ও বাছাই নিয়ে মতপার্থক্যের কারণে বিষয়টি ঝুলে ছিল। সেই টানাপড়েন আরও দীর্ঘায়িত হয়েছে রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক নানা অস্থিরতার কারণে। কখনও আর জি কর হাসপাতালে চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুন, কখনও শিক্ষকদের চাকরি বাতিলের মতো ঘটনায় এ সব সাংগঠনিক বিষয় শাসক দলের কর্মসূচিতে পিছনের সারিতে চলে গিয়েছে। এই সময়ে রদবদলের প্রস্তাব খারিজ না-হলেও চাপা পড়ে গিয়েছে। তবে আগামী একুশে জুলাইয়ের আগে এই বিষয়টি চূড়ান্ত করতে না পারলে দলের ঘোষিত একটি সিদ্ধান্ত নিয়ে নেতা-কর্মীদের মধ্যে ধন্দই তৈরি হবে না, ভোটের আগে রদবদলের সুযোগও কাজে লাগানো যাবে না বলে মনে করছেন নেতাদের একাংশ। দলের একাংশে গোটা প্রক্রিয়া বাতিলের সম্ভাবনা নিয়েও আলোচনা শুরু হয়েছিল।

এমতাবস্থায় এ মাসেই তাতে হাত দেওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। তৃণমূলের এক রাজ্য নেতার কথায়, ‘‘পরিস্থিতি এই রকম থাকলে আগামী ১৫- ১৬ তারিখ থেকে রদবদল শুরুতে সম্মতি দিতে পারেন দলনেত্রী।’’

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

TMC

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy