—ফাইল চিত্র
কায়দাটি একেবারে শুভেন্দু অধিকারীর মতো। প্রথমেই মন্ত্রিত্ব ত্যাগ। বিধায়ক বা দলের সদস্যপদ ছাড়েননি এখনও। যদিও পদত্যাগীমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় শুক্রবার সন্ধ্যায়ও আবেগের সঙ্গে দাবি করেছেন, ‘‘আমি এখনও তৃণমূলের বিধায়ক এবং দলের কর্মী। এখনও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমার নেত্রী।’’
তবু পূর্বসূরী শুভেন্দুর পথ ধরে রাজীবের বিজেপিতে যোগদান কি নিছক কয়েক দিনের অপেক্ষা? রাজ্য রাজনীতিতে এই প্রশ্ন এখন জোরালো। মেদিনীপুরে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সভামঞ্চে শুভেন্দু বিজেপির পতাকা হাতে নিয়েছিলেন মাসখানেক আগে। এ মাসের শেষে শাহের ফের রাজ্যে আসার কথা। সভা করার কথা হাওড়ার ডুমুরজলা স্টেডিয়ামে। ওই জেলার বিধায়ক রাজীব কি তবে সেই দিনটিই ‘বেছে’ নেবেন? প্রত্যাশিত ভাবেই এ সব প্রশ্নের সরাসরি জবাব না-দিয়ে রাজীব ফের বলেছেন, ‘‘আমি কিন্তু এখনও বিধায়ক পদ ছাড়িনি।’’
রাজীবের জন্য বিজেপির দরজা যে খোলা তা জানিয়ে দলের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের বক্তব্য, ‘‘আমরা চাই তিনি বিজেপিতে আসুন। একসঙ্গে ‘সোনার বাংলা’ গড়ি। ওঁর জন্য অপেক্ষা করব।’’ পরবর্তী সিদ্ধান্ত যা-ই হোক, রাজীব দাবি করেছেন তিনি রাজনীতিতেই থাকবেন। এবং মানুষের জন্য কাজ করবেন। তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যাওয়া শুভেন্দু অধিকারীও বলেন, ‘‘আমার তো ভাল লাগছেই। দেখ তৃণমূল কেমন লাগে!
রাজীব মেরুদণ্ড সোজা রেখেছেন। রাজনৈতিক সহকর্মী হতে চেয়েছেন।’’ হাওড়ার ডোমজুড় থেকে ২০১১ সালে জিতেই সেচমন্ত্রী হয়েছিলেন রাজীব। ২০১৬-তেও বিপুল ব্যবধানে জিতেছিলেন। এখন প্রশ্ন, তিনি রাজনীতিতে থাকলে কি অন্য দলের টিকিটে ডোমজুড়েই লড়বেন? মজুড় কেন্দ্রে সংখ্যালঘু ভোট প্রচুর। সেক্ষেত্রে বিজেপির জন্য আসনটি কতটা ‘নিরাপদ’ রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের চর্চায় সে বিষয়টিও আছে। রাজীবের ঘনিষ্ঠ মহল অবশ্য দাবি করে, নিজের কেন্দ্রে তিনি ভোটারদের এতটাই কাছের দলীয় পরিচিতির বাইরেও তাঁর নিজের একটি অবস্থান রয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy