সস্কুল শিক্ষক। — ফাইল চিত্র।
স্কুলে নিয়োগের ক্ষেত্রে প্রার্থীদের বয়সের ঊর্ধ্বসীমা সরকারি ভাবেই নির্ধারণ করা হয়। তা সত্ত্বেও সেই বয়ঃসীমা পেরিয়ে যাওয়া কিছু প্রার্থীকে নবম-দশম শ্রেণির শিক্ষকপদের পরীক্ষায় বসতে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। এমনকি এই ধরনের অন্তত ২১ জনকে চাকরিও দেওয়া হয়েছে স্কুলে। সিবিআই তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করবে বলে বুধবার নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাই কোর্ট। বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর আরও নির্দেশ, বয়স পেরিয়ে যাওয়া সত্ত্বেও কিছু প্রার্থীকে কী ভাবে নিয়োগ পরীক্ষায় বসতে দেওয়া হয়েছিল, সেই ব্যাপারে রিপোর্ট দেবে এসএসসি বা স্কুল সার্ভিস কমিশন। মামলার পরবর্তী শুনানি হবে ১৬ জানুয়ারি।
মামলাকারী কর্মপ্রার্থীদের আইনজীবী সুদীপ্ত দাশগুপ্ত ও বিক্রম বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, তাঁরা প্রাথমিক ভাবে ২১ জনের নাম দিয়েছেন। এবং তাঁদেরই জিজ্ঞাসাবাদ করবে সিবিআই। রাজ্যে শিক্ষক এবং শিক্ষা দফতরের ‘গ্রুপ সি’ বা তৃতীয় শ্রেণি এবং ‘গ্রুপ ডি’ বা চতুর্থ শ্রেণির কর্মী নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে বিভিন্ন স্তরে তদন্ত করছে ওই কেন্দ্রীয় সংস্থা। এই তদন্তেই গ্রেফতার হয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং শিক্ষা দফতরের বিভিন্ন প্রাক্তন কর্তা। এসএসসি-তে নিয়োগ নিয়ে দুর্নীতি হয়েছে বলে সিবিআই এবং ইডি বা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট ইতিমধ্যেই আদালতে জানিয়েছে। এ বার নতুন করে বয়স পেরিয়ে যাওয়া প্রার্থীদের নিয়োগপত্র দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
বয়ঃসীমা লঙ্ঘন করে নবম-দশম শ্রেণির শিক্ষকপদে বেশ কিছু নিয়োগ হয়েছে বলে অভিযোগ তুলে মামলা করেন ১৯৩ জন চাকরিপ্রার্থী। সংশ্লিষ্ট সূত্রের খবর, মামলাকারীরা এমন অন্তত ২১ জনের নাম আদালতে জানিয়েছেন, যাঁরা বয়স পেরিয়ে যাওয়া সত্ত্বেও শিক্ষকপদে নিয়োগের পরীক্ষায় বসেছিলেন এবং নিয়োগের তালিকাভুক্তও হয়েছেন। মামলাকারী কর্মপ্রার্থীদের কৌঁসুলিরা অভিযোগ করেন, স্কুলশিক্ষকের চাকরির পরীক্ষায় বসার সর্বাধিক বয়স ৪০ বছর। কিন্তু ওই সব প্রার্থী ২০১৬ সালে যখন পরীক্ষায় বসেন, তখন তাঁরা ৪০ পেরিয়ে গিয়েছিলেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy