সি ভি আনন্দ বোস। —ফাইল চিত্র।
সম্প্রতি ঝাড়গ্রামে গিয়ে সাধু রামচাঁদ মুর্মু বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন প্রশাসনিক শূন্য পদ পূরণের নির্দেশ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার পরে ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার হিসেবে অতিরিক্ত দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারকে। বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পরীক্ষা নিয়ামক এবং ফিনান্স অফিসারকেও নিয়ে যাওয়া হয়েছে ঝাড়গ্রামের ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে।
এর পরে শনিবার রাজভবন থেকে বিজ্ঞপ্তি জারি করে সুপ্রিম কোর্টের একটি নির্দেশ উল্লেখ করে জানানো হয়েছে, এই নির্দেশ রাজ্য দিতে পারে না। উচ্চশিক্ষা সচিব এই কাজ করতে পারেন না। যে বিশ্ববিদ্যালয়ে রেজিস্ট্রার যাচ্ছেন, যে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে যাচ্ছেন এবং যিনি রেজিস্ট্রার, তাঁদের মধ্যে আলোচনা সাপেক্ষে বিষয়টি বাস্তবায়িত হবে। তবে উচ্চশিক্ষা দফতরের এক আধিকারিক জানান, রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয় সংক্রান্ত আইনে ২০১৭ সালের সংশোধনীর পরে ১৮ নম্বর ধারা অনুযায়ী এই এক্তিয়ার উচ্চশিক্ষা দফতরের রয়েছে।
নয়া বিজ্ঞপ্তিতে রাজভবনের বক্তব্য, রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা উপাচার্য। তাঁর নির্দেশেই সব কিছু হবে। রেজিস্ট্রার, সহ-উপাচার্য তাঁর নির্দেশ মেনে চলবেন। রাজ্যে এখন কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজ্যপালের একক সিদ্ধান্তে মনোনীত উপাচার্যেরা রয়েছেন। বাকি ১৪টি বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনি নিজেই উপাচার্যের দায়িত্ব পালন করবেন বলে জানিয়ে দিয়েছেন আচার্য তথা রাজ্যপাল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy