—ফাইল চিত্র।
করোনার পাশাপাশি এসে গেল ডেঙ্গির মরসুম। বর্ষায় ডেঙ্গির মোকাবিলায় কী পদক্ষেপ করা যায়, সেই বিষয়ে আগামী সপ্তাহে স্বাস্থ্যকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে বসতে পারেন নতুন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় স্বাস্থ্য ভবনে স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণস্বরূপ নিগম, স্বাস্থ্য অধিকর্তা অজয় চক্রবর্তী প্রমুখের সঙ্গে দীর্ঘ বৈঠক করেন তিনি।
স্বাস্থ্য সূত্রের খবর, করোনাকে প্রতিহত করতে কী ভাবে টিকা কর্মসূচি চলছে, সেই বিষয়ে খুঁটিয়ে খোঁজ নেন হরিকৃষ্ণ। ১৮-৪৪ বছর বয়সিদের মধ্যে যাঁরা সুপার স্প্রেডার হিসেবে চিহ্নিত, তাঁদের অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে টিকাদানের কথা জানান স্বাস্থ্যকর্তারা। করোনার সম্ভাব্য তৃতীয় ঢেউ ঠেকাতে কী করা হবে, আলোচনা হয় সেই ব্যাপারে। স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্প ঢেলে সাজানোর বিষয়েও এ দিনের বৈঠকে আলোচনা হয়েছে।
করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের চলতি পর্বে দৈনিক সংক্রমণ কমতে শুরু করেছে। এ দিন নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৯৪২৪ জন। যা সোমবারের (১০,১৩৭) থেকেও কিছুটা কম। স্বাস্থ্য দফতরের পরিসংখ্যান বলছে, এ দিন রাজ্যে ৬৫,০৪১ জনের করোনা পরীক্ষা করা হয়েছে। যা সোমবারের (৫৮,৮৪৩) থেকে বেশি। এক সংক্রমণ বিশেষজ্ঞ বলেন, ‘‘এটা স্পষ্ট যে, সংক্রমণ রুখতে রাজ্যে কড়া নিয়ন্ত্রণ বিধি জারি হওয়াতেই এই সুফল মিলছে। মানুষকে এটা মনে রাখতে হবে। আগামী দিনে তাঁদের সংযত আচরণই করোনা সংক্রমণের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করবে।’’
রাজ্যের অন্যান্য প্রান্তের মতো উত্তর ২৪ পরগনা, কলকাতাতেও দৈনিক সংক্রমণ কমছে। এ দিন উত্তর ২৪ পরগনায় ২০২৮, কলকাতায় ১০৩২ জন আক্রান্ত হন। তিনটি জেলায় আক্রান্তের সংখ্যা ৫০০ থেকে ৭০০-র ঘরে। হাওড়ায় ৬৬১, দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ৭৫৫, নদিয়ায় ৫২২ জন সংক্রমিত। রাজ্যে করোনা চিকিৎসায় যাতে কোনও খামতি না-থাকে, সেটা নিশ্চিত করতে সরকারের মতো এগিয়ে এসেছে বেসরকারি হাসপাতালগুলিও। লোহিয়া মাতৃ সদন ও চার্নক হাসপাতালের যৌথ উদ্যোগে এ দিন জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়িতে স্যাটেলাইট পদ্ধতিতে করোনা চিকিৎসা কেন্দ্র চালু করা হয়। সেখানে ১০০টি শয্যা রয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy