শিশুদের টাইপ-১ ডায়াবিটিস প্রতিরোধ ও চিকিৎসার বিষয়টি বছর চারেক আগে পরীক্ষামূলক ভাবে চালু হয়েছিল রাজ্যে। এসএসকেএমের সেই প্রকল্পের সাফল্য মেলার পরে তা রাজ্যের সর্বত্র চালু করে স্বাস্থ্য দফতর। রাজ্যের ওই প্রকল্প মডেল হিসেবে দেশেও চালু করেছে কেন্দ্র। তাতে দেশের প্রায় ১৩ লক্ষ ডায়াবিটিস আক্রান্ত শিশুকে চিকিৎসার আওতায় আনা সম্ভব হয়েছে। বাংলার ওই প্রকল্প এ বার পাচ্ছে আন্তর্জাতিক সম্মান। এই স্বীকৃতিকে শুভেচ্ছা জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী তথা স্বাস্থ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বৃহস্পতিবার দিঘায় বলেন, ‘‘বাংলা সব কিছুতেই এগিয়ে রয়েছে।এমন বিভিন্ন প্রকল্প, গবেষণা সব সময়েই আমাদের এখানে চলতে থাকে।’’
এসএসকেএমে ওই প্রকল্পের কারিগর ছিলেন এন্ডোক্রিনোলজি বিভাগের শিক্ষক-চিকিৎসক সুজয় ঘোষ। ছোটদের ডায়াবিটিস চিকিৎসার ক্ষেত্রে সেরা অবদানের জন্য বিশ্বের শতাধিক বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের মনোনয়নের মধ্যে থেকে এ বছরের জন্য ওই বঙ্গীয় মডেলকে বেছে নিয়েছে ইন্টারন্যাশনাল সোসাইটি ফর পেডিয়াট্রিক অ্যান্ড অ্যাডোলেসেন্ট ডায়াবিটিস’ (ইসপাড)। তাদের তরফে এ বছরের সর্বোচ্চ পুরস্কার তুলে দেওয়া হবে সুজয়ের হাতে। নভেম্বরে সেই পুরস্কার নিতে কানাডায় যাবেন ওই চিকিৎসক।
এ বছর কেন্দ্রীয় সরকারও সিদ্ধান্ত নেয়, বাংলার ওই মডেলকে অনুসরণ করে ছোটদের ডায়াবিটিস নিয়ন্ত্রণে কর্মসূচি চালু হবে কেন্দ্রীয় নন-কমিউনিকেবল ডিজ়িজ় বা জুভেনাইল এনসিডি প্রকল্পে। এবং দেশে তা চালুও হয়েছে। তার ফলে জেলার শিশুরোগীদের আর শহরে আসতে হচ্ছে না। স্থানীয় স্তরেই মিলছে চিকিৎসা।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)