প্রতীকী ছবি
আবারও সেই একই ছবি জলঙ্গিতে। গোয়েন্দারা শুক্রবার সন্ধেয় বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে গ্রেফতার করে নওদাপাড়ার এক যুবক শামিম আনসারিকে। শনিবার সকালে সেই বাড়ির সামনে প্রতিবেশীদের ভিড় বাড়ে। আর সেই জটলা থেকে উড়ে আসছে একই উদ্বেগ, ভাল ছেলেটাকে কেন ধরে নিয়ে গেল? গোয়েন্দাদের সূত্রে জানা গিয়েছে, কেরলে কাজ করতে করতে বছর খানেক আগে গ্রামে ফিরে এসেছিল শামিম। তার পর থেকে এলাকাতেই কাজ করত। কেন সে ফিরে এসেছিল, সে প্রশ্ন ভাবাচ্ছে গোয়েন্দাদের।
শামিমকে গ্রেফতার করেছে এসটিএফ। শামিমের বন্ধু আল মামুন কামালকে এনআইএ আগেই গ্রেফতার করেছে। আল মামুনের সঙ্গে আল কায়দার সম্পর্ক ছিল বলে অভিযোগ। শামিমের বাড়ি আল মামুনের গ্রামে। নওদাপাড়ার বাসিন্দাদের বক্তব্য, শামিম ভাল ছেলে বলেই পরিচিত। আল মামুন কামালের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক সকলেই জানতেন। তারা এক সঙ্গে নমাজ পড়ত, মাঝে মাঝে এক সঙ্গে ঘুরে বেড়াত পাড়ার মোড়ে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, ভিন্ রাজ্য থেকে ফিরে শামিম প্রথমে ইটভাটায় এবং কিছু দিন এলাকার এক ব্যবসায়ীর গুদামে কাজ করেছিল। তবে আল মামুন কামালকে গ্রেফতারের পর থেকে শামিমকে বাইরে বিশেষ দেখা যায়নি। তার মা মাগফুরা বেওয়ার দাবি, ‘‘চার দিন ধরে জ্বরে কাতরাচ্ছে ছেলেটা। তার মাঝেই শুক্রবার সন্ধ্যায় ছেলেকে তুলে নিয়ে গেল পুলিশ। কী অপরাধ, কিছুই জানতে পারলাম না।’’ একই অভিযোগ শামিমের স্ত্রী চাঁদতারা বিবিরও।
এ দিন পশ্চিম বর্ধমানের আসানসোলে একটি অনুষ্ঠানে শনিবার যোগ দিয়ে মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী বলেন, ‘‘বিজেপি পয়সা ছড়িয়ে একদল লোককে দিয়ে পশ্চিমবঙ্গের বদনাম করার কাজ শুরু করেছে। এরা দেশকে টুকরো করার কাজে নেমেছে। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গে এ সব করা সম্ভব নয়। কারণ, এ রাজ্যের মানুষ সচেতন। কোনও বিভেদ হতে দেবেন না।’’ বিজেপির মুর্শিদাবাদ দক্ষিণ জেলা সভাপতি গৌরীশঙ্কর ঘোষের অবশ্য বক্তব্য, ‘‘বিজেপি তোষণ ও বিভেদের রাজনীতি করে না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy