সেই কুকুর। নিজস্ব চিত্র
পেটে সাঁড়াশি ঢুকিয়ে কুকুরকে হত্যার অভিযোগ উঠল এক যুবকের বিরুদ্ধে। ঘটনা পোলবার সুগন্ধা পঞ্চায়েতের আমদাবাদ গ্রামে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের অভিযোগ, শুক্রবার সকালে কুকুরটির মুখে এক টুকরো রুটি দেখে মেজাজ হারান ওই যুবক। ভেবেছিলেন, তাঁর ঘর থেকে রুটি নিয়ে এসেছে সারমেয়টি। ঘর থেকে সাঁড়াশি এনে কুকুরটির পেটে ঢুকিয়ে দেয় সে। যন্ত্রণায় ছটফট করতে থাকে সারমেয়টি। কিছুক্ষণের মধ্যেই তার মৃত্যু হয়।
পুলিশ জানিয়েছে, অভিযোগ দায়ের না-হওয়ায় ওই ঘটনায় কোনও পদক্ষেপ করা যায়নি। এর আগে পোলবাতেই এক সারমেয়কে ধারাল অস্ত্রের কোপে জখম করেছিল আর এক যুবক। পশুদের উপরে পরপর হামলার ঘটনায় ক্ষুব্ধ পশুপেমীরা।
আমদাবাদ গ্রামে বেশ কয়েকটি কুকুর রয়েছে। এলাকাবাসী খাবার দিলে তারা খেতে পায়। না-দিলে অভুক্ত থাকে। লকডাউন-পর্বে কার্যত না-খেয়েই কাটাতে হয়েছে সারমেয়গুলিকে। স্থানীয় সূত্রে খবর, এ দিন সকালে বাড়িতে রুটি করছিলেন এক মহিলা। ঘরের দরজা খোলা ছিল। একটুকরো রুটির আশায় দরজার সামনে বসেছিল একটি পথকুকুর। তাকে একটি রুটি দিয়েছিলেন ওই মহিলা। রুটি মুখে নিয়ে বেরিয়ে যায় সারমেয়টি। এর পরেই ঘটে বিপত্তি।
কুকুরের মুখে রুটি দেখে ওই মহিলার স্বামীর ধারণা হয়, স্ত্রীর অসতর্কতার সুযোগে সারমেয়টি ঘর থেকে রুটি নিয়ে এসেছে। এই নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বিবাদ হয়। আচমকাই ঘর থেকে একটি সাঁড়াশি নিয়ে বেরিয়ে পড়েন ওই যুবক। কুকুরটিকে দেখতে পেয়ে তার পেটে সাঁড়াশি ঢুকিয়ে দেন তিনি। রক্তাক্ত সারমেয়টি যন্ত্রণায় চিৎকার করতে করতে পাশের একটি জঙ্গলে ঢুকে যায়। কিছুক্ষণ পরেই তার মৃত্যু হয়। ঘটনায় স্তম্ভিত এলাকাবাসী। তাঁরা ওই ব্যক্তির শাস্তি দাবি করেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় এক বাসিন্দার কথায়, ‘‘এই সব মানুষ সভ্য সমাজের কলঙ্ক। এদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত।’’ পশুপ্রেমী রজত মালের প্রতিক্রিয়া, ‘‘লকডাউন-এর কারণে সারমেয়দের খাদ্য সঙ্কট চরমে উঠেছে। এই ধরনের নৃশংসতা মেনে নেওয়া যায় না।’’ জেলা গ্রামীণ পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, ‘‘স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযোগ দায়ের করলে আইন মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy