জরুরি প্রয়োজনে যাঁরা গাড়ি নিয়ে বেরচ্ছেন, এক মাত্র তাঁরাই ছাড় পাচ্ছেন। ছবি:পিটিআই
কলকাতা থেকে জেলা, সম্পূর্ণ লকডাউনের তৃতীয় দিনেও পুলিশি কড়াকড়ির ছবি ধরা পড়ছে সর্বত্রই। অপ্রয়োজনে গাড়ি নিয়ে বেরলে চলছে ধরপাকড়। নাকা তল্লাশির সময় পরিচয়পত্র দেখতে চাওয়া হচ্ছে। নির্দিষ্ট কারণ দেখাতে না পারলে, আইনি পদক্ষেপ করছে পুলিশ। চেনা ভিড় উধাও। শুনশান রাস্তাঘাট। বন্ধ বাজার-দোকান। ড্রোনের মাধ্যমেও অলিগলিতে চলছে নজরদারি। কার্যত ঘরবন্দি রাজ্যবাসী।
আজ, বুধবার সকাল ৬টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত থাকবে সম্পূর্ণ লকডাউন। স্কুল-কলেজ, অফিস-কাছারি, পরিবহণ বন্ধ। উড়ান এবং রেল পরিষেবাও স্থগিত। এক মাত্র ছাড় রয়েছে জরুরি পরিষেবার ক্ষেত্রে। অগস্টের ৫, ৮,১৬, ১৭, ২৩, ২৪ এবং ৩১ তারিখে একই নিয়ম বহাল থাকবে। করোনার সংক্রমণ রুখতেই এই পদক্ষেপ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
কলকাতার ঠাকুরপুকুর থেকে চিড়িয়ামোড়, ইএম বাইপাস, পার্ক সার্কাস, খিদিরপুর, বেলেঘাটা, বেহালা, গড়িয়া, গড়িয়াহাট, রাসবিহারী, যাদবপুর, সেন্ট্রাল অ্যাভেনিউ-সহ শহরের প্রায় সব রাস্তায় পুলিশি ব্যারিকেড বসানো হয়েছে। পুলিশকর্তারাও বাহিনী নিয়ে বিভিন্ন এলাকায় টহল দিচ্ছেন। মাস্ক না পরলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। জরুরি প্রয়োজনে যাঁরা গাড়ি নিয়ে বেরচ্ছেন, এক মাত্র তাঁরাই ছাড় পাচ্ছেন।
আরও পড়ুন: পরিস্থিতি অনুকূল হলে ৫ সেপ্টেম্বর থেকে অল্টারনেটিভ দিনে ক্লাস: মমতা
বড়বাজার, পোস্তা, যদুবাবুর বাজার এলাকায় অন্যান্য দিনে ঠাসা ভিড় থাকে। কিন্তু এ দিন ওই এলাকায় পুলিশে ছয়লাপ। শুনশান এলাকা। লকডাউন মানার কথা ঘোষণা হচ্ছে মাইকে।
আরও পড়ুন: আজ পূর্ণ লকডাউন, ২ দিন কমিয়ে অগস্টের ৭ দিনও
একই ছবি ধরা পড়েছে হাওড়া, শিলিগুড়ি, দুই ২৪ পরগনা, দুই বর্ধমান, বাঁকুড়া-সহ প্রায় সমস্ত জেলাতেই।
পার্ক সার্কাসে চলছে নাকা তল্লাশি— নিজস্ব চিত্র।
কোচবিহারেও শহরাঞ্চলের রাস্তাঘাট শুনশান। সেখানে যেন বনধের চেহারা। উত্তরের দুই মালদাতেও একটি রকম কড়াকড়ি। ইংরেজবাজার থেকে মালদা টাউনে পুলিশি টলহদারি চোখে পড়ার মতো। উত্তর ২৪ পরগনার বারাসতের কলোনী মোড়ে এ দিন ব্যস্ততার ছবি ধরা পড়েনি। ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কে নাকা তল্লাশি চলছে। লকডাউনের নিয়ম না মানলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বারাসত পুলিশ জেলার পক্ষ থেকে।
মুর্শিদাবাদের বহরমপুরে আগের দু’দিনর ছবিই ধরা পড়েছে। সাধারণ মানুষকে গৃহবন্দি করার জন্য কড়া পদক্ষেপ করছেন পুলিশ কর্মীরা। বোলপুরেও চৌরাস্তা, ব্যাস্ত রাস্তাগুলির মধ্যে একটি। এ দিন ওই এলাকা বনধের চেহারা নিয়েছে।
(জরুরি ঘোষণা: কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীদের জন্য কয়েকটি বিশেষ হেল্পলাইন চালু করেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। এই হেল্পলাইন নম্বরগুলিতে ফোন করলে অ্যাম্বুল্যান্স বা টেলিমেডিসিন সংক্রান্ত পরিষেবা নিয়ে সহায়তা মিলবে। পাশাপাশি থাকছে একটি সার্বিক হেল্পলাইন নম্বরও।
• সার্বিক হেল্পলাইন নম্বর: ১৮০০ ৩১৩ ৪৪৪ ২২২
• টেলিমেডিসিন সংক্রান্ত হেল্পলাইন নম্বর: ০৩৩-২৩৫৭৬০০১
• কোভিড-১৯ আক্রান্তদের অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবা সংক্রান্ত হেল্পলাইন নম্বর: ০৩৩-৪০৯০২৯২৯)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy