মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।—ছবি পিটিআই।
ঠিক ছিল, রাজ্যের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ৩১ জুলাই পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। কিন্তু করোনার প্রকোপ উত্তরোত্তর বাড়তে থাকায় সেই সময়সীমা ৩১ অগস্ট পর্যন্ত বাড়ানো হচ্ছে বলে মঙ্গলবার জানান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একই সঙ্গে তিনি জানান, পরিস্থিতি অনুকূল হলে ৫ সেপ্টেম্বর থেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা যেতে পারে।
মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য, করোনা পরিস্থিতি এখন শীর্ষে রয়েছে। তাই স্কুল-কলেজ বন্ধই থাকবে। ৩১ অগস্ট পর্যন্ত খোলার প্রশ্ন ওঠে না। ‘‘যদি সব কিছু ঠিকঠাক থাকে, আমরা ৩১ অগস্টের মধ্যে বলে দেব। আমাদের লক্ষ্য ৫ সেপ্টেম্বর, ডক্টর রাধাকৃষ্ণনের জন্মদিন, শিক্ষক দিবস। যদি পরিস্থিতি অনুকূল হয়, সে-দিন থেকে দুর্গাপুজোর আগে পর্যন্ত এক মাস অল্টারনেটিভ দিনে অল্টারনেটিভ ক্লাস করতে দেব,’’ বলেন মমতা।
করোনার দাপটে মার্চে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি বন্ধ হয়ে যায়। পরে পরিস্থিতির আরও অবনতি হওয়ায় ছুটি আরও বাড়ানো হয়। শেষ সরকারি সিদ্ধান্ত ছিল, ৩১ জুলাই পর্যন্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে। এ দিন মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণায় সেই মেয়াদ বেড়ে গেল ৩১ অগস্ট পর্যন্ত।
আরও পড়ুন: চিহ্নিত অতি ঝুঁকিপূর্ণ জেলা, তৈরি আমলারা
কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের চূড়ান্ত বর্ষ ও চূড়ান্ত সিমেস্টারের মূল্যায়ন নিয়ে ইউজিসির প্রথম নির্দেশ বলবৎ রাখার পক্ষে এ দিনও সওয়াল করেন মমতা। তাঁর বক্তব্য, এখন পরীক্ষা সম্ভব নয়। কোনও কিছু খোলা নেই। কবে কোভিড পরিস্থিতি মিটবে, কবে সব খুলবে, তা-ও নিশ্চিত করে বলা সম্ভব নয়। ফলে ছাত্রস্বার্থে পরীক্ষা না-নেওয়ার দাবি জানানো হচ্ছে।
আরও পড়ুন: পিজি-র নার্সের মৃত্যু, স্বামী সরব পরিষেবা নিয়েই
ইউজিসি এবং কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রক এ মাসের প্রথম দিকে দ্বিতীয় নির্দেশিকায় জানায়, চূড়ান্ত বর্ষ ও চূড়ান্ত সিমেস্টারের পরীক্ষা বাধ্যতামূলক এবং সেপ্টেম্বরের মধ্যে তা নিতে হবে। এই নিয়ে দেশ জুড়ে প্রতিবাদ হচ্ছে। দাবি উঠছে, পরীক্ষা ছাড়াই মূল্যায়নের ব্যাপারে ইউজিসি এপ্রিলে প্রথম যে-নির্দেশ দিয়েছিল, সেটিই রূপায়ণ করা হোক। পরীক্ষা বাধ্যতামূলক করার প্রতিবাদ জানান মুখ্যমন্ত্রীও। পরীক্ষা বাধ্যতামূলক করা চলবে না বলে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কাছে লিখিত ভাবে দাবি জানান তিনি। সোমবার মোদীর সঙ্গে ভিডিয়ো-বৈঠকেও এই প্রসঙ্গ তোলেন মমতা। ইউজিসির দ্বিতীয় নির্দেশের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেছে তৃণমূলের কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ওয়েবকুপা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy