Advertisement
০১ এপ্রিল ২০২৩

রাহুলকে দেখে স্কুলে ‘রামধ্বনি’

তৃণমূলের অভিযোগ, বিজেপি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ঢুকে পড়ুয়াদের নিয়ে রাজনীতি করছে। বিজেপি নেতারাই পড়ুয়াদের কানে কানে জয় শ্রী রাম বলার কথা শিখিয়ে দেন বলে অভিযোগ তৃণমূলের।

রাহুল সিনহা। ফাইল চিত্র

রাহুল সিনহা। ফাইল চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
জলপাইগুড়ি শেষ আপডেট: ৩১ জুলাই ২০১৯ ০৩:২৫
Share: Save:

দলের সদস্য সংগ্রহের রাজনৈতিক কর্মসূচিতে এসে বিজেপি নেতা রাহুল সিংহ নেতা কর্মীদের নিয়ে ঢুকে পড়লেন স্কুলে। তখন স্কুলে টিফিন চলছিল। অনেক বহিরাগতদের দেখে হইহই করে জুটে যায় পড়ুয়ারা। হঠাতই শুরু হয় জয় শ্রী রাম স্লোগান। শোনা যায়, পড়ুয়ারা গলা মেলাচ্ছে স্লোগানে। শিক্ষকরা দৃশ্যতই বিব্রত হয়ে পড়েন। কেউ কেউ দু পা পিছিয়ে বারান্দা থেকে ঘরে ঢুকে যান। স্কুলের মাঠে দুটি মেহগনি গাছের চারা বোনার পরে বের হওয়ার পথে পড়ুয়াদের সঙ্গে নিয়ে ভারত মাতা কী জয় স্লোগান তোলেন জেলা বিজেপি নেতাও। পড়ুয়ারা তাতে গলা মেলায়। জলপাইগুড়ি বিবেকানন্দ পল্লিতে একই চত্বরে ধর্মপুর হাইস্কুল এবং বালাপাড়া তিস্তাচর প্রাথমিক স্কুল রয়েছে মঙ্গলবার সেখানেই গিয়েছিলেন রাহুল সিংহ।

Advertisement

তৃণমূলের অভিযোগ, বিজেপি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ঢুকে পড়ুয়াদের নিয়ে রাজনীতি করছে। বিজেপি নেতারাই পড়ুয়াদের কানে কানে জয় শ্রী রাম বলার কথা শিখিয়ে দেন বলে অভিযোগ তৃণমূলের। রাজনৈতিক কর্মসূচিতে এসে কেন রাহুল সিংহ স্কুলে ঢুকলেন প্রশ্ন তৃণমূলের। জয় শ্রী রাম এবং ভারত মাতা কী... রাজনীতির সঙ্গে পরিচিত দুই স্লোগান কেন পড়ুয়াদের দিয়ে বলানো হল সে প্রশ্ন শিক্ষকদের একাংশেরও। স্কুল কর্তৃপক্ষই বা কি ভাবে বিজেপি নেতাদের মাঠে গাছ লাগানোর অনুমতি দিলেন তা নিয়েও

তদন্ত দাবি করেছেন তৃণমূল নেতারা। বিজেপি নেতা রাহুল সিংহ অবশ্য এতে দোষের কিছু দেখছেন না। তাঁর মন্তব্য, “দলের কর্মসূচিতেই রয়েছে সদস্য সংগ্রহ অভিযানে গিয়ে এলাকায় গাছ লাগাতে হবে। স্কুলে গাছ লাগানো সামাজিক কর্মসূচি ছিল। দলের পতাকা বাইরে রেখে আমরা স্কুলে ঢুকেছিলাম।” জয় শ্রী রাম স্লোগান প্রসঙ্গে রাহুল সিংহ বলেন, “আমরা কেউ স্কুলে স্লোগান দেইনি। জয় শ্রী রাম তো এখন ঘরে ঘরে। যত এই স্লোগান শুনে কেউ খেপবে, শিশুরা ততই বলবে।”

স্কুলের পড়ুয়াদের নিয়ে ভারত মাতা কী স্লোগান দিয়েছিলেন বিজেপির জেলা সম্পাদক বাপি গোস্বামী। তাঁর প্রতিক্রিয়া, “ভারত মাতার জয় বলা অন্যায় নাকি।” তৃণমূলের তরফে এ নিয়ে পাল্টা জনমত গড়ে তোলার প্রস্তুতি হচ্ছে। জেলা তৃণমূলের কার্যকরী সভাপতি চন্দন ভৌমিক বলেন, “রাহুল সিংহ যে গাছের চারা হাতে নিয়ে স্কুলে ঢুকেছিলেন সেটাকে বিষবৃক্ষ বলে। ছোট ছোট ছেলেমেয়েদের মধ্যে ধর্মীয় বিভাজন করে আসলেন এ দিন। আমরা পাল্টা পথে নামব। এলাকায় গিয়ে সকলের সঙ্গে কথা বলব।”

Advertisement

যে প্রাথমিক স্কুলের মাঠে চারা লাগানো হয়েছে তার প্রধান শিক্ষক সঞ্জয় সরকার বলেন, “এলাকার কয়েকজন এসে বলেছিলেন মাঠে চারাগাছ লাগানো হবে। সামাজিক কর্মসূচি ভেবে অনুমতি দিয়েছিলাম। কে বা কারা আসবে জানতাম না।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ)
Follow us on: Save:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE
Popup Close
Something isn't right! Please refresh.