লোকসভার মধ্যেই তাঁকে খুন করা হবে এবং লাশ পাঠিয়ে দেওয়া হবে কালীঘাটে! রীতিমতো ফিল্মি সংলাপের কায়দায় প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হল তৃণমূলের লোকসভার দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যেপাধ্যায়ের নির্দেশে সুদীপবাবু গোটা বিষয়টি আজ লোকসভায় তুলেছেন এবং দিল্লির নর্থ অ্যাভিনিউ থানায় এফআইআর দায়ের করেছেন। লোকসভার স্পিকার সুমিত্রা মহাজন সুদীপবাবুর কাছ থেকে গোটা বিষয়টি জেনে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলার আশ্বাস দিয়েছেন। রাতেই দিল্লি পুলিশের একটি বিশেষ দল সুদীপবাবুর সঙ্গে দেখা করে তাঁর নিরাপত্তার খুঁটিনাটি নিয়ে আলোচনা করেছেন। সব মিলে এসএমএস-কাণ্ডে রাজধানী সরগরম!
অচেনা নম্বর থেকে সুদীপবাবুর মোবাইলে অশ্রাব্য গালিগালাজ-সহ হুমকি দিয়ে এসএমএস এসেছিল গত কাল। বিচলিত সুদীপবাবু ফোনে ঘটনার কথা জানান দলনেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতাকে। মুখ্যমন্ত্রী তাঁকে বলেন, বিষয়টি অবিলম্বে লোকসভায় তুলতে এবং এফআইআর করতে। তিনি নিজেও টুইট করে বিষয়টি নিয়ে সরব হন। মমতার মন্তব্য, ‘সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যাকে দিল্লিতে হত্যা করে কলকাতায় পাঠিয়ে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়েছে। আমি সুদীপদা’কে বলেছি, দিল্লিতে এফআইআর করে তার একটা প্রতিলিপি কলকাতায় পাঠাতে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের সঙ্গেও যোগাযোগ করতে বলেছি। কী ধরনের প্রতিহিংসামূলক রাজনীতি এটা?’ মমতার অভিযোগ, অসহিষ্ণুতা নিয়ে সরব হওয়ার জেরেই এমন হত্যা-হুমকি! তাঁর বক্তব্য, ‘‘যদি বিরোধীদের কথাই না বলতে দেওয়া হয়, তা হলে তো জরুরি অবস্থা ঘোষণা করলেই হয়!’’
সুদীপবাবু আজ ওই অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিকে পাল্টা মেসেজ করে জানান যে, বিষয়টি তিনি সংসদে তুলতে চলেছেন। সঙ্গে সঙ্গে জবাবে আসে আরও এক রাশ কুৎসিত গালিগালাজ! লোকসভায় বর্ণনা দেওয়ার পরে সুদীপবাবু বলেন, ‘‘আমার মোবাইলে পুরো রেকর্ডই রয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কাছে অনুরোধ করছি বিষয়টি দেখতে।’’ সেই সময় অবশ্য লোকসভায় ছিলেন না কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংহ। কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী রাজীবপ্রতাপ রুডি বলেন, ‘‘কোনও সাংসদকে হুমকি দেওয়া হলে ভারত সরকার অবশ্যই ব্যবস্থা নেবে। রাজনাথজি আজ বিমান দুর্ঘটনা নিয়ে ব্যস্ত। আমি তাঁকে বিষয়টি জানাচ্ছি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy