ফাইল চিত্র
প্রাকৃতিক দুর্যোগের ক্ষতিপূরণ নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগে রাজ্যের শাসক দলের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন বাম পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তী। আমপানে ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে জেলার অনেক ব্লকেই। রবিবার তাহেরপুরে দলীয় এক সভায় যোগ দিতে এসে সেই প্রসঙ্গে সুজন বলেন, “তৃণমূল শেষ খাওয়া খেয়ে নিচ্ছে।”
জেলার একাধিক ব্লকে তৃণমূলের জনপ্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে পরিজনদের ক্ষতিপূরণ পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। বিক্ষোভও হয়েছে নানা জায়গায়। এ নিয়ে সুজন বলেন, “যাদের বাড়ি তিনতলা, চারতলা তাদের ২০ হাজার টাকা পাইয়ে দেওয়ার নাম করে ১৮ হাজার টাকা নিয়ে নিয়েছে ওরা। ওরা মনে করছে সরকার তো আর টিকবে না। তাই শেষ খাওয়া খেয়ে নিচ্ছে তৃণমূল। মনে করেছে এটা শেষ সুযোগ।’’
এ দিন লকডাউন প্রশ্নে কেন্দ্র এবং রাজ্য উভয়কেই বেঁধেন সিপিএম নেতা। তিনি বলেন, “পাগলের রাজত্বে আমরা আছি। লকডাউন না লকডাউন নয়, আমরা প্রথম থেকে বলছি এটা বিশেষজ্ঞরা ঠিক করবে। প্রধানমন্ত্রী, মুখ্যমন্ত্রী, তাঁরা এমন সময়ে লকডাউন করেছেন যে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে গেল। আবার বেড়ে গেলে অফিস বাজার চালু করে দিলেন। কোনও বোধবুদ্ধি বিবেচনা নেই।” তাঁর বক্তব্য, যাঁরা অপরিকল্পিতভাবে লকডাউন করেছেন, তাঁরাই আবার অপরিকল্পিত ভাবে আনলক করছেন।
পাশাপাশি, ভিন্ রাজ্যের শ্রমিকদের নিয়েও সরব হয়েছেন সুজন। তিনি বলেন, “ভিন্ রাজ্যের শ্রমিকেরা আবার বলছে আমরা ফিরে যেতে চাই। সুস্থ মানুষ কোয়রান্টিনে গিয়ে অসুস্থ হল। মুখ্যমন্ত্রীর ভুলের জন্য আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে।” রাজ্য সরকার এবং রাজ্যপালের সাম্প্রতিক বিরোধ নিয়ে বলতে গিয়ে সুজন বলেন, “রাজ্য সরকার এবং রাজ্যপাল কী ভাবে কাজ করবেন তার একটা গণ্ডি আছে। সংবিধানকে রক্ষা করাটা সবার কাজ। এতে আমাদের কারও লাভ নেই। রাজায় রাজায় যুদ্ধ হয় উলুখাগড়ার প্রাণ যায়।”
প্রাক্তন সিপিএম সাংসদ জ্যোতির্ময়ী সিকদারের বিজেপিতে যোগদানের বিষয়ে তিনি বলেন, “এর আগে তৃণমূলে গিয়েছিল। আড়াই দিন টিকতে পারবে না।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy