E-Paper

সুলতানার পড়াশোনায় আর আপত্তি তুলবেন না তাঁর স্বামী এবং শ্বশুরবাড়ির লোকজন

ফরাক্কা থানার আইসি দেবব্রত চক্রবর্তী বলেন, ‘‘আশা করছি, সুলতানার আর সমস্যা হবে না। ফরাক্কাতেই কলেজ রয়েছে। পুলিশ তাঁর পড়াশোনার উপর নজর রাখবে, সব রকম সাহায্যও করবে।”

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৮ মার্চ ২০২৩ ০৫:২৬
Sultana

পরীক্ষাকেন্দ্রে সুলতানা। ফাইল চিত্র।

স্ত্রী যাতে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা দিতে না পারেন, তাই বৃহস্পতিবার ঘরের শিকল বাইরে থেকে তুলে দিয়ে বেপাত্তা হয়ে গিয়েছিলেন স্বামী বান্টি শেখ। তবে স্ত্রী সুলতানাকে দমিয়ে রাখা যায়নি। সুলতানা সে দিন শেষ পর্যন্ত পরীক্ষা দিয়েছেন। শনিবার ইতিহাস পরীক্ষা। তার আগে শুক্রবার ফরাক্কার তিলডাঙার বাসিন্দা বান্টিকে ফরাক্কা থানায় ডাকা হয়। বান্টির সঙ্গে ডেকে পাঠানো হয় তাঁর বাবা ও মাকেও। পুলিশ সূত্র জানিয়েছে, আলোচনার পরে বান্টি ও তাঁর বাবা-মা সুলতানার পড়াশোনায় আর আপত্তি তুলবেন না বলে জানিয়েছেন। শনিবার দুপুরে পরীক্ষার পরে সুলতানাকেও ডেকে আবার এক সঙ্গে আলোচনায় বসা হবে।

পুলিশ সূত্র জানিয়েছে, বান্টি ষষ্ঠ শ্রেণি পর্যন্ত পড়েছেন। তাঁর মা ও বাবা নিজেদের নাম সই করতে জানেন। বান্টিরা তিন ভাই। সকলেই দিনমজুর। ঝাড়খণ্ড লাগোয়া ওই এলাকায় শিক্ষার হার অত্যন্ত কম। ফরাক্কা থানার আইসি দেবব্রত চক্রবর্তী বলেন, ‘‘আশা করছি, সুলতানার আর সমস্যা হবে না। ফরাক্কাতেই কলেজ রয়েছে। পুলিশ তাঁর পড়াশোনার উপর নজর রাখবে, সব রকম সাহায্যও করবে।”

সুলতানা এখন তাঁর বাপের বাড়ি বিন্দু গ্রামে রয়েছেন। তাঁর তিন দাদা, ভাইয়ের দু’জন মাধ্যমিক পর্যন্ত পড়েছেন। সুলতানার ইচ্ছে আরও পড়াশোনা করার। বৃহস্পতিবার থেকে অবশ্য ফোনেও স্বামীর সঙ্গে তাঁর কোনও কথা হয়নি। তবে পুলিশের দাবি, সুলতানা জানিয়েছেন, স্বামীর ঘরেই ফিরে যেতে চান তিনি, সেখানে থেকেই পড়তে চান কলেজে।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Higher Secondary Examination 2023 farakka

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy