বোলপুর স্টেশনে বোলপুর মহকুমা হাসপাতালের সুপার বুদ্ধদেব মুর্মু। সোমবার। নিজস্ব চিত্র।
অনুব্রত মণ্ডলের বাড়িতে চিকিৎসক দল পাঠানো নিয়ে বিস্তর সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন তিনি। তার পর থেকে প্রকাশ্যে বিশেষ দেখা যায়নি বোলপুর মহকুমা হাসপাতালের সুপার বুদ্ধদেব মুর্মুকে। তাঁর ছুটির মেয়াদ শেষ হওয়ার পরেও তাঁকে হাসপাতালে দেখা যায়নি বলেই দাবি। সোমবার ‘হঠাৎই’ তাঁকে পাওয়া গেল বোলপুর স্টেশনে।
অনুব্রতের গ্রেফতারির ঠিক আগেই তাঁর নিচুপট্টির বাড়িতে সরকারি চিকিৎসকদল পাঠিয়েছিলেন বুদ্ধদেব। পরে চিকিৎসক চন্দ্রনাথ অধিকারী অভিযোগ করেন, তাঁর ইচ্ছার বিরুদ্ধে সুপারের ‘চাপে’ পড়ে তাঁকে অনুব্রতের বাড়িতে যেতে হয়েছিল। অথচ হাসপাতাল সুপার সে সময় নিজেই ছুটিতে ছিলেন! ছুটিতে থাকা সুপার কি এমন ‘নির্দেশ’ দিতে পারেন— এই প্রশ্নে তৈরি হয় বিতর্ক। বেশ ক’দিন চুপ থাকার পরে সুপার দাবি করেন, জেলা সভাধিপতির ‘নির্দেশে’ তিনি চিকিৎসকদল পাঠিয়েছিলেন। যা জেনে সভাধিপতি বিকাশ রায়চৌধুরী আবার জানান, অনুব্রতের ব্যক্তিগত সহায়কের ফোন পেয়েই তিনি সুপারকে বিষয়টি দেখতে বলেছিলেন। কোনও রকম নির্দেশ তিনি দেননি।
এর পর থেকে সুপারকে আর দেখতে পাওয়া যাচ্ছিল না। এ দিন হাওড়া-আজিমগঞ্জ গণদেবতা এক্সপ্রেস থেকে বোলপুর স্টেশনে নামেন বুদ্ধদেব। প্ল্যাটফর্মে নামতেই অনুব্রতের বাড়িতে সরকারি চিকিৎসকদল পাঠানো নিয়ে সংবাদমাধ্যমের প্রশ্নের মুখে পড়তে হয় তাঁকে। সব প্রশ্ন এড়িয়ে দ্রুত তিনি উল্টো দিকের রামপুরহাট থেকে হাওড়াগামী একটি ট্রেনে উঠে পড়েন। ট্রেনের দরজায় বেশ ভিড় ছিল। তার মধ্যেই কোনও মতে ভিতরে ঢুকে পড়েন সুপার। জবাবে শুধু বলেন, ‘‘এখানে দাঁড়িয়ে কিছু বলা যাবে না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy