সুরেশ প্রভু। ছবি: পিটিআই।
দিল্লি থেকে কলকাতায় এসে এত দিন রাজ্য সরকার বা শাসক দলকে আক্রমণ করতেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা। কেউ মৃদু, কেউ তীক্ষ্ম। সেই রেওয়াজে সামান্য বদল ঘটালেন কেন্দ্রীয় শিল্প ও বাণিজ্য এবং বিমানমন্ত্রী সুরেশ প্রভু। তাঁর অস্ত্র হল, প্রতিশ্রুতি!
রাজ্য বিজেপির দফতরে দিলীপ ঘোষ এবং সহ-সভাপতি সুভাষ সরকারকে পাশে নিয়ে রবিবার প্রভু জানান, কলকাতা বিমানবন্দরের সম্প্রসারণ নিয়ে উদ্যোগী দিল্লি। পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গে বিমান প্রস্তুতিকরণের কারখানা এবং এমআরও বা বিমান রক্ষণাবেক্ষণ শিল্প তৈরির ভাবনাও রয়েছে। যার ফলে কয়েক লক্ষ কর্মসংস্থান হবে। যদিও সে সব কবে বা কোথায় হবে, সে বিষয়ে কিছু জানাননি মন্ত্রী।
প্রশ্নের উত্তরে প্রভুর বক্তব্য, ‘‘এক সময় রাজ্যে শিল্পবান্ধব পরিবেশ ছিল। ক্রমশ তা নষ্ট হয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকার পশ্চিমবঙ্গের পুরনো চেহারা পুনরুদ্ধার করতে চায়।’’ প্রভু এ দিন জানান, সারা দেশের মতো পশ্চিমবঙ্গের যুবকদেরও তাঁরা ব্যবসায় উৎসাহ দিতে চান। রাজ্যের ‘স্টার্ট আপ কমিউনিটি’কে সাহায্য করার জন্যও তাঁদের নির্দিষ্ট পরিকল্পনা আছে। রাজনৈতিক পরিদর্শকদের অনেকের মতে, ১৬ জুলাই নরেন্দ্র মোদীর সভার আগে রাজ্যবাসীর সামনে প্রতিশ্রুতির ফানুস ওড়াতে চাইছে বিজেপি। প্রস্তুত করা হচ্ছে লোকসভা নির্বাচনের জমিও।
রাজ্যের মন্ত্রী তথা ফিরহাদ হাকিম অবশ্য বলেন, ‘‘ভোটের আগে এক জন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এসে ৬টি চা-বাগান অধিগ্রহণের কথা বলেছিলেন। পরে তাঁর আর দেখা মেলেনি! বাবুল সুপ্রিয়, সুরেন্দ্র সিংহ অহলুওয়ালাও মাঝেমধ্যে লম্বাচওড়া প্রতিশ্রুতি দিয়ে থাকেন। প্রভু এসে কী বললেন, তাতে কী আর আসে যায়!’’
কেন্দ্রীয় সরকারের ‘কৃষকবন্ধু’ ভাবমূর্তি নিয়েও এ দিন সওয়াল করেছেন প্রভু। যদিও মহারাষ্ট্রে কৃষক আত্মহত্যার প্রসঙ্গ উঠলে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর সাফ জবাব, ‘‘কৃষকেরা যখন আত্মহত্যা করেছিলেন, তখনও সরকারের নতুন নীতি রূপায়িত হয়নি। কখনও কখনও ফসলের দামও তুলতে পারতেন না কৃষকেরা। নতুন নীতিতে সেই সমস্যার সুরাহা হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy