Advertisement
E-Paper

সাসপেনশন রদ প্রধান শিক্ষকের

মাত্র মাস পাঁচেক আগে ওই প্রধান শিক্ষক এই স্কুলে এসেছেন বলে জানিয়ে সরকারি স্কুলশিক্ষক সমিতি অভিযোগ তোলে, সুকুমারবাবুর আগে দু’দফায় যিনি ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ছিলেন, তিনি দায় এড়াতে পারেন না।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৮ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ০২:২৩

তুমুল বিতর্ক ও টানাপড়েন চলতে থাকায় শিক্ষামন্ত্রী নিজেই হস্তক্ষেপ করেছিলেন। তার পরেই বিধাননগর সরকারি স্কুলের প্রধান শিক্ষকের সাসপেনশনের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে নিল স্কুলশিক্ষা দফতর। কিন্তু সেই প্রত্যাহার পর্বের আগেও বৃহস্পতিবার সারা দিন ধরে চলল চূড়ান্ত নাটক। প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে দুর্ব্যবহারের অভিযোগও উঠল স্কুল ডিরেক্টরেটের অফিসারদের বিরুদ্ধে।

কর্তব্যে অবহেলার অভিযোগ ওঠায় বিধাননগর সরকারি স্কুলের প্রধান শিক্ষক সুকুমার চক্রবর্তীকে গত সপ্তাহে সাসপেন্ড করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল স্কুলশিক্ষা দফতর। মাত্র মাস পাঁচেক আগে ওই প্রধান শিক্ষক এই স্কুলে এসেছেন বলে জানিয়ে সরকারি স্কুলশিক্ষক সমিতি অভিযোগ তোলে, সুকুমারবাবুর আগে দু’দফায় যিনি ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ছিলেন, তিনি দায় এড়াতে পারেন না। শুরু হয় বিতর্ক। তার পরেই শিক্ষামন্ত্রী সরাসরি কথা বলেন প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে। এ দিন বিকেলের দিকে শিক্ষামন্ত্রী জানান, সুকুমারবাবুর সাসপেনশনের আদেশ প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে।

কিন্তু সরকারি স্কুলশিক্ষক সমিতির অভিযোগ, শিক্ষামন্ত্রী সুকুমারবাবুর সাসপেনশন প্রত্যাহারে উদ্যোগী হলেও স্কুল ডিরেক্টরটের আধিকারিকেরা সুকুমারবাবুর সঙ্গে এ দিন চূড়ান্ত দুর্ব্যবহার করেছেন। ৩০ অগস্ট পরিদর্শনে গিয়ে স্কুলশিক্ষা সচিব এবং স্কুলশিক্ষা দফতরের অধিকর্তা ওই স্কুলের পরিস্থিতি দেখে খুশি হতে পারেননি। অপরিচ্ছন্ন স্কুল, মিড-ডে মিলের হিসেবে অসামঞ্জস্য পরিদর্শকদলের চোখে পড়ে। শেষ পর্যন্ত স্কুলশিক্ষা দফতর প্রধান শিক্ষক সুকুমারবাবুকে সাসপেন্ড করার সিদ্ধান্ত নেয়। তার পরে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় সরাসরি কথা বলেন সুকুমারবাবুর সঙ্গে। শিক্ষামন্ত্রী তাঁকে স্কুল পরিচ্ছন্ন করার নির্দেশ দেন।

এ দিন স্কুলশিক্ষা ডিরেক্টরেটের আধিকারিকেরা আবার স্কুল পরিদর্শনে যান। সরকারি স্কুলশিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সৌগত বসুর অভিযোগ, সেই সময়ে সুকুমারবাবুকে আগের কর্তব্যে অবহেলার জন্য ক্ষমা চাইতে বলা হয়। তিনি তাতে রাজি হননি। পরিবর্তে তিনি যে-চিঠি লেখেন, তার বয়ান বদলানোর জন্য বারবার তাঁকে নির্দেশ দেওয়া হয়। যে-আধিকারিকের বিরুদ্ধে দুর্ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে, তাঁর স্ত্রী ওই স্কুলেরই প্রাতঃকালীন বিভাগের শিক্ষিকা। সৌগতবাবু বলেন, ‘‘ওই আধিকারিকের এই স্কুলের বিষয়ে কথা বলা ন্যায়সঙ্গত কি না, সেটা খতিয়ে দেখা প্রয়োজন।’’

বিকাশ ভবন থেকে সন্ধ্যার দিকে সাসপেনশন প্রত্যাহারের চিঠি পান প্রধান শিক্ষক। ‘‘আমি শিক্ষামন্ত্রীর কাছে কৃতজ্ঞ। নতুন উদ্যমে কাজ করে যাবো,’’ বলেছেন সুকুমারবাবু।

Bidhannagar Government High School Controversy Head Master বিধাননগর সরকারি স্কুল
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy