মমতাকে আক্রমণ শুভেন্দুর।
নন্দীগ্রাম না হলে মুখ্যমন্ত্রী হতে পারতেন না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ‘দিদি’ থেকে ‘দিদিমা’ হয়ে যেতেন। অধিকারী পরিবারের ঠিকানা ‘শান্তিকুঞ্জ’ থেকে গিয়েই মমতা মুখ্যমন্ত্রী হতে পেরেছেন বলে দাবি করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। কোজাগরী লক্ষ্ণীপুজোর দিন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে তাঁর বাড়িতে স্বাগত জানাতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ করলেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক। পাল্টা শুভেন্দুর দাবিকে ‘হাস্যকর’ বলে উড়িয়ে দিলেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ।
লক্ষ্মীপুজোয় অধিকারী পরিবারের আমন্ত্রণ পেয়ে রবিবার সন্ধ্যায় কাঁথির ‘শান্তিকুঞ্জ’-এ আসেন সুকান্ত। তাঁর গাড়ি শান্তিকুঞ্জের কাছে পৌঁছতেই বাড়ির সদর দরজায় ফুলের তোড়া হাতে বেরিয়ে আসেন শুভেন্দু। সুকান্তকে জড়িয়েও ধরেন। এর পর তাঁকে নিয়ে বাড়ির ভিতরে ঢোকার সময় সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে শুভেন্দু বলেন, ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সিআইডি পাঠিয়েছিলেন আমার অসুস্থ মাকে বিব্রত করার জন্য। উনি (সুকান্ত) এসেছেন আমার মাতৃদেবীর সঙ্গে দেখা করতে। বাবার সঙ্গে সৌজন্য বিনিময় করতে এসেছেন উনি।’’ এর পরেই মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে সুর চড়াতে শুরু করেন শুভেন্দু। বলেন, ‘‘এক বছর ধরে বাড়ির দু’দিকে ডিজে বাজাতেন। চোরচোট্টা বলে গান বাজানো হত। এখন তো ওঁর বা়ড়ির সামনে গান বাজানো হয়। মমতা যে বাড়ি থেকে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন... এই বাড়িতে (শান্তিকুঞ্জ) ছিলেন উনি।’’
বিরোধী দলনেতার সংযোজন, ‘‘২০০৭ সালের ১৪ মার্চ নন্দীগ্রামের ঘটনা ঘটেছিল। ২০০৮ সালের ১৩ মার্চ এই বাড়ির (শান্তিকুঞ্জ) ছাদে ছিলেন রাতে। নন্দীগ্রাম না হলে দিদি তো দিদিমা হতেন। মুখ্যমন্ত্রী হতে পারতেন না। এখান থেকে নন্দীগ্রামের মাটি নিয়ে কলকাতায় গিয়ে মিছিল করেছিলেন। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে। সেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই বাড়িতে সিআইডি, পুলিশ পাঠাচ্ছে। সামনে পিছনে সিসিটিভি বসিয়েছে। ওঁর ভাইপোর কোম্পানির ভাটাংশুরা এই বাড়ির সামনে মিছিল করে আমার অসুস্থ মাকে বিব্রত করেছে। সব সুদ-আসলে ফিরিয়ে দেব।’’
শুভেন্দুর এই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে কুণাল বলেন, ‘‘দলবদলুরা কী ভাবে এত বড় বড় কথা বলেন? শিশিরবাবু এখনও তৃণমূলের নির্বাচিত সাংসদ। অথচ বৈঠক করছেন বিজেপি সভাপতির সঙ্গে। সুকান্তবাবুরা যেন মনে রাখেন শিশিরবাবু একবারই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হয়েছিলেন, তাও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দয়ায়। গোটা অধিকারী পরিবার আজ রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠা পেয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্য। শুভেন্দু, দিব্যেন্দু, সৌমেন্দুও রাজনীতিতে যা পেয়েছেন বা করেছেন, তা মমতাদির জন্যই।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy