Advertisement
১৯ মে ২০২৪
Suvendu Adhikari

মোদী ছাড়া মন্দিরই হত না, পাল্টা শুভেন্দুর

রাম মন্দিরের উদ্বোধন উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর আহ্বানে সাড়া দিয়ে এ দিন রাজ্য জুড়েই ‘স্বচ্ছতা অভিযানে’ নেমেছিলেন বিজেপি নেতারা। রাজ্যের একাধিক জায়গায় নানা মন্দির ও রাস্তা সাফাই করেন দলের শীর্ষ নেতারা।

Representative Image

—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৫ জানুয়ারি ২০২৪ ০৮:২৮
Share: Save:

অযোধ্যায় রাম মন্দিরের উদ্বোধনকে ঘিরে ‘দাদাগিরি’ চলছে বলে মন্তব্য করেছিলেন পুরীর শঙ্করাচার্য নিশ্চলানন্দ সরস্বতী। রামলালার ‘প্রাণ প্রতিষ্ঠা’য় পূজারীদের বদলে যে ভাবে রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বেরা ঢুকে পড়েছেন, সেই প্রসঙ্গ টেনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সাম্প্রতিক কাজকর্মকে ‘উন্মাদের লক্ষণ’ বলে সমালোচনা করেছিলেন তিনি। এ বার শঙ্করাচার্যকে পাল্টা আক্রমণে নেমে পড়লেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

আগামী ২২ জানুয়ারি অযোধ্যায় রাম মন্দিরের উদ্বোধন হবে। সেই অনুষ্ঠানকে সামনে রেখে দেশ জুড়ে মন্দিরে মন্দিরে ‘স্বচ্ছতা অভিযানে’র ডাক দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। তাঁর সেই আহ্বানে রবিবার তাঁর নিজের বিধানসভা কেন্দ্র নন্দীগ্রামের শিব মন্দির সাফাই অভিযানে অংশগ্রহণ করেছিলেন বিজেপি বিধায়ক তথা মন্দির কমিটির সভাপতি শুভেন্দু। সেখানেই শঙ্করাচার্য প্রসঙ্গে তাঁর মন্তব্য, ‘‘রাম ব্রহ্মচারী এবং প্রভু নিত্যগোপাল দাস একাধিক দিন গিয়ে সাক্ষী দিয়ে রাম মন্দির প্রতিষ্ঠা করার জয় নিয়ে এসেছেন। বাবর যে দিন রাম মন্দির ধ্বংস করেছিল, সে দিন তিন লক্ষ হিন্দুকে শহিদ হতে হয়েছিল। সেই দিন এঁরা (শঙ্করাচার্য) কোথায় ছিলেন!’’ বিরোধী দলনেতার আরও দাবি, ‘‘নরেন্দ্র মোদী যদি প্রধানমন্ত্রী না হতেন, তা হলে রাম মন্দির প্রতিষ্ঠা কোনও দিন হত না!’’

গঙ্গাসাগরে এসে পুরীর শঙ্করাচার্য বলেছিলেন, শাস্ত্র সম্মত ভাবে রামলালার ‘প্রাণ প্রতিষ্ঠা’ হওয়া উচিত। তাঁর মন্তব্য ছিল, ‘‘প্রধানমন্ত্রীর নিজের সীমার মধ্যে থাকা উচিত। ধর্মের ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করা তাঁর উচিত নয়। সব ব্যাপারে দাদাগিরি করা এবং নেতৃত্ব দিতে যাওয়া প্রধানমন্ত্রীর কাজ নয়! এমন কাজ করা উন্মাদের লক্ষণ!’’ কটাক্ষের সুরে তিনি আরও বলেছিলেন, ‘‘কেউ রাম মন্দির উদ্বোধন করবেন, রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠা করবেন, আমি কি সেখানে গিয়ে হাততালি দেব?’’ তারই পাল্টা এ দিন মুখ খুলেছেন শুভেন্দু।

শঙ্করাচার্যের বক্তব্য প্রসঙ্গে বহরমপুরের সাটুইয়ে এ দিন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার দাবি করেছেন, ‘‘শাস্ত্র বিধি অনুসারেই রাম মন্দিরের উদ্বোধন হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী আমাদের গণতান্ত্রিক দেশে প্রশাসনিক প্রধান। শঙ্করাচার্য বলেছেন, আমরা দু’জনেই যদি উপস্থিত থাকি ধর্মীয় প্রধান এবং শাসনের প্রধান, প্রোটোকলে সমস্যা হতে পারে। তাই কয়েক জন শঙ্করাচার্য এই অনুষ্ঠানে আসবেন না। কিছু শঙ্করাচার্য আসবেন।’’ তাঁর সংযোজন, ‘‘কমিটি থেকে যাঁদের আহ্বান করা হয়েছে, তাঁদের সবার অংশগ্রহণ করা উচিত।’’

রাম মন্দিরের উদ্বোধন উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর আহ্বানে সাড়া দিয়ে এ দিন রাজ্য জুড়েই ‘স্বচ্ছতা অভিযানে’ নেমেছিলেন বিজেপি নেতারা। রাজ্যের একাধিক জায়গায় নানা মন্দির ও রাস্তা সাফাই করেন দলের শীর্ষ নেতারা। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু যেমন নন্দীগ্রামের রেয়াপাড়া শিব মন্দিরে সাফাই করেছেন, তেমনই বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত বহরমপুরের জগন্নাথ মন্দির পরিষ্কার করেন। প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ নিজের লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত খড়্গপুরে সাফাই কর্মসূচি করেছেন। রাজ্য বিজেপির প্রধান মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্যও সাফাই কর্মসূচি উপলক্ষে কলকাতার রাম মন্দিরে উপস্থিত ছিলেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE